‘একটি বেআইনি হত্যা আরো অনেক হত্যার বিস্তৃতি ঘটায়’
প্রকাশিত : ০৩:০৩ পিএম, ৩ জুন ২০১৮ রবিবার
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের সময় কথিত বন্দুকযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একটি বেআইনি হত্যাকাণ্ড আরো অনেক হত্যার বিস্তৃতি ঘটায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে একটি এতিম জেনারেশন তৈরি করতে চায়। বেআইনি হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার তাদের টিকে থাকার সমাধান খোঁজছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে অন্যায়ের প্রতিশোধ প্রকৃতি নিজেই নেয়।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মাদকের উৎসমুখ বন্ধ করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
‘গত চার মাসে ২৫০ জন মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এদের বেশিরভাগই আবার তরুণ-যুবক। তারা কে কতটুকু অপরাধের সঙ্গে জড়িত, সে সম্পর্কে জনগণকে অন্ধকারে রেখে বিনা বিচারে হত্যার পেছনে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বন্দুকযুদ্ধে নিহত একরামুলের ব্যাপারে বলেন, ‘এই একরামের ব্যাপারটা… সে আমাদের পার্টিরই একজন কর্মী। এখানে কি সে ভিকটিম হয়ে গেল, অসহায় ভিকটিম—এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের অভিযানে দু-একটা ভুল হতে পারে। আমি জানি না খতিয়ে দেখার আগে। এ বিষয়টাতে… এটা কোনো নিরীহকে শিকার করা হলো কি না?’
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘মানুষের জীবন নিয়ে ভুল! ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য মানবাধিকারকে ঠাট্টা করা। খুনি-সন্ত্রাসীদের ন্যায় বেআইনি হত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়া।’
রিজভী মাদক নির্মূলে মাদকের উৎসমুখ বন্ধের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে সরবরাহের উৎস পথ আটকে যাচ্ছে না কেন? তাহলে কারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাদক ঢুকতে সহায়তা করছে? রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া কি উৎসমুখ খোলা থাকে?’
‘কারণ এই উৎসমুখগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন বদিদের মতো এমপিরা—প্রশাসনের সহায়তায়। বদিসহ ক্ষমতাসীনদের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কীভাবে এতগুলো গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়ে গেল, জাতি তা জানতে চায়। আসলে সরকারই গডফাদারদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করছে,’ যোগ করেন বিএনপি নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকারি বহু টালবাহানার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও সরকারি কারসাজিতে তাঁর জামিন আটকে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট কোনো মামলায় জামিন দেওয়ার পর আপিল বিভাগ কারো জামিন স্থগিত করে এমন নজির বাংলাদেশে আর একটিও নেই।’
এসি