সম্পর্ক চিরকাল ছন্দময় রাখার ৭ কৌশল
প্রকাশিত : ০২:৪৪ পিএম, ৪ জুন ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১০:১৪ এএম, ১০ জুন ২০১৮ রবিবার
দুটি হৃদয়ের একসঙ্গে দীর্ঘ পথচলার প্রত্যয়ই প্রেম। দুটি তরুণ মনের প্রতিজ্ঞাই প্রেম। একটি সম্পর্কে জড়ানোর পর সব কিছুই আনন্দময় লাগে। কিন্তু কিছুদিন পর যেন সবকিছুই ফিকে যেতে শুরু করে। নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি-মনোমালিন্যের পাশাপাশি পুরোনো রোমান্টিক অভ্যাসগুলোও হারিয়ে যেতে থাকে। ফলে দুজনের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দূরত্ব। একটা পর্যায়ে ব্রেক আপের সুরও বেজে উঠে। এমতাবস্থায় সম্পর্ক সতেজ ও ছন্দময় রাখতে একটু কৌশলী হতে হয়। দুজন দুজনের প্রতি আস্থা রাখতে হয়। দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার আশংকা দেখা দেওয়া মাত্রই সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে দূর করতে হয়।
উপহার বিনিময়
সঙ্গীর মন জয় করার জন্য উপহারের কোনো বিকল্প হয় না। উপহার সেটা হোক না একটি পারফিউম কিংবা একগুচ্ছ চুরি, তাতে কি? প্রেয়সীর জন্য এটি বড়ই সম্মানের। তাই সঙ্গীর পছন্দ মাফিক ছোটখাটো উপহার দিন, দেখবেন সম্পর্ক হয়ে উঠবে আরও হেলদি আরও ভায়োব্রেন্ট।
হাত ধরা, চোখে চোখ রাখা
সম্পর্ককে সজীব রাখতে হাত ধরা কিংবা চোখে চোখ রেখে গভীর দৃষ্টি বিনিময়ের কোনো তুলনা নেই। জীবনের পথে ভালোবাসার মানুষটির হাত শক্ত করে ধরে রাখুন সবসময়। সমস্যা যতই প্রবল হোক, তাকে বোঝান যে আপনি সব সময় পাশেই আছেন। কোথাও গেলে জনসম্মুখে হাত ধরতেও লজ্জা করবেন না। কথা বলার সময় চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন।
আপনার সঙ্গীটি দিন শেষে বাড়ি ফিরে আসলে তাঁকে নির্মোহ থেকে জড়িয়ে ধরুন গভীর করে। সম্পর্ক যত পুরোনোই হোক না কেন এই অভ্যাস গুলো বজায় রাখুন। তাহলে সম্পর্ক থাকবে চির সবুজ।
ক্ষুদে বার্তা, ফেসবুক ইনবক্স
একটা সময় প্রেম আদান প্রদানের বাহক ছিল ছিল। প্রেম পত্রের যুগ তো চলে গেছে বহু আগেই। তাই বলে কী ভালোবাসার কথা প্রকাশ করা বন্ধ হয়ে গেছে? মোটেও না! ভালোবাসার প্রথম দিকে তো দিনে অসংখ্য ক্ষুদে বার্তা পাঠাতেন। সম্পর্ক পুরোনো হওয়ার সাথে সাথে সেগুলো বন্ধ করে না দিয়ে পাঠাতে থাকুন সব সময়েই। যখনই সময় পান ক্ষুদে বার্তা কিংবা ফেসবুকের ইনবক্সে কিছু কথা লিখে পাঠিয়ে দিন। তাহলে নিজেদের মধ্যে কোনও দূরত্ব সৃষ্টি হবে না। আর মাঝে মাঝে ই-কার্ড পাঠিয়ে চমকে দিতে পারেন নিজের প্রিয় মানুষটিকে।
নিয়ম করে ডেট
প্রেমের শুরুতে তো কতোই ডেটিং করেছেন। কিন্তু পরে আর ডেটিং-এ যাওয়া হয় না। অনেকেই ভাবেন ঘরেই তো আছি দুজনে আবার ডেটিং এর দরকার কি! কিন্তু সম্পর্ক যতই পুরোনো হোক না কেন একান্তে নিজস্ব কিছু সময়ের প্রয়োজন সবসময়েই থাকে। একান্তে দুজনে বসে খানিকক্ষণ গল্প করলে দেখবেন মানসিক দূরত্ব কমে যায়, দূরে সরে মান-অভিমান। এই অভ্যাসটি নিয়মিত ধরে রাখলে দেখবেন ঝগড়া হবার সুযোগই তৈরি হবে না।
প্রশংসা ও ধন্যবাদ দেওয়া
আপনার সঙ্গীটি আপনার জন্য অনেক কিছুই তো করছে। আপনি কি তাঁর প্রশংসা করছেন? নাকি এগুলোকে তার দায়িত্ব হিসেবে ধরে নিয়ে একটি বারের জন্য ধন্যবাদও দিচ্ছেন না? প্রশংসা না পেলে ভালোবাসার সম্পর্কে মন থেকে কিছু করার আগ্রহ থাকে না। তাই আপনার সঙ্গীর সৌন্দর্য, রান্না কিংবা আপনার প্রতি তার ভালোবাসা ও যত্নের প্রশংসা করুন। আপনার জীবনটাকে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দিন। এগুলোতে কার্পন্য করবেন না।
এক সঙ্গে নতুন কিছু শেখা
এক সঙ্গে নতুন কিছু শেখার আনন্দই আলাদা। দুজনের সম্পর্কটা পুরোনো হয়ে গেলে চেষ্টা করুন এক সঙ্গে নতুন নতুন কিছু শেখার। ভিন দেশী নাচ শিখতে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন কোথাও। কিংবা বেহালা অথবা ফটোগ্রাফির ক্লাস করুন এক সাথে। অথবা নিত্য নতুন রান্না শিখতে পারেন দুজনে মিলে ঘরের মধ্যেই। তাহলে সম্পর্ক চিরকাল নতুন ও তাজা থাকবে।
বেড়ানো
সময় পেলেই সঙ্গীর পছন্দের জায়গা থেকে ঘুরে আসবেন। দেখবেন মনও ভালো থাকবে। সম্পর্কে ছোট খাটো ভুল বোঝাবুঝিও চলে যাবে।
/ এআর /