এতটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন সাকিব?
প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পিএম, ৪ জুন ২০১৮ সোমবার
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই গতকাল রোববার প্রমাণ হয়ে গেল ক্রিকেটের ক্ষুদ্র ফরম্যাটে আফগানিস্তানের চেয়ে কতটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। ৪৫ রানে পরাজিত হওয়া ম্যাচটিতে একবারের জন্যও মনে হয়নি বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খেলছে! পেশাদারিত্বের নূন্যতম ছাপ ছিল না। সেইসঙ্গে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। একটি ঘটনাতেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
পেস আক্রমণ দিয়ে বোলিং শুরু করে বাংলাদেশ। তিন পেসার ৪ ওভারে ৬২ রান দিয়ে বসেন। রানের লাগাম টানতে স্পিন আক্রমণ শুরু করেন সাকিব। ১২ থেকে ১৫ -এই চার ওভারে আফগানদের মাত্র ১৪ রান দেন চার স্পিনার সাকিব, মাহমুদ উল্লাহ, মোসাদ্দেক ও নাজমুল। আগের তিন ওভারে ২৭ রান দেওয়া নাজমুলও ওই সময়ে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। অনিয়মিত মোসাদ্দেকও এক ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৩ রান। আর মাহমুদউল্লাহ তো ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। ১ ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ২ উইকেট!
কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে, এরপর মাহমুদ উল্লাহকে আর ব্যবহারই করেননি সাকিব! শেষ ওভারে আবুল হাসানকে এনে বেদম মার খেতে হলো। কেন আনা হলো না মাহমুদ উল্লাহকে? এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, `এটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমি যদি তাকে বল দিতাম আর কয়েকটা ছক্কা খেয়ে যেত, তখন আপনারা জিজ্ঞেস করতেন কেন তাকে বল দিলাম? নিয়মিত বোলারদের কেন দিলাম না?`
কী হলে কী হতো না- এমন ভাবনা আসা আসলে সিদ্ধান্তহীনতার পরিচয়। রাজীব গান্ধীর স্পিন বান্ধব উইকেটে পেসাররা যখন সুবিধা পাচ্ছিলেন না; মাহমুদ উল্লাহকে দিয়ে আরেকবার ট্রাই করালে খুব একটা ক্ষতি হতো না। তার ওভারে ১ রান দেওয়ার মানে হলো তিনি সমীহ আদায় করে নিতে পেরেছেন। কিন্তু ম্যাচের আগে বাংলাদেশের দলের বক্তব্য ছিল বিভ্রান্তিকর। বলা হচ্ছিল, উইকেট নাকি পেস বান্ধব! কিন্তু বাস্তবে ম্যাজিক দেখালেন স্পিনাররা। আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্লান `বি` ঠিক রাখতে হয়। সাকিবের প্লান `বি` কী ছিল? তিনি কি সেটার সঠিক ব্যবহার করতে পেরেছেন।
টিআর/এসি