ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে যৌনবাহিত রোগ গনোরিয়া

প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ৬ জুন ২০১৮ বুধবার

কয়েক বছর ধরেই যৌনবাহিত রোগ সিফিলিস ও গনোরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। যুক্তরাজ্যে ২০১৬ সালের তুলনায় সিফিলিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গনোরিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২২ শতাংশ।

এর আগের বছরও একইহারে দেশটিতে গনোরিয়া ও সিসিলিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। দেশটিতে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে গনোরিয়া ও সিলিস রোগ ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্তিতিতে গনোরিয়া শনাক্তকরণ পরীক্ষা চ্যালমাইডিয়া কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণদের গনোরিয়া ও সিসিলিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। যেসব তরুণরা সমকামীতায় লিপ্ত, তাদের মধ্যে যৌনবাহিত রোগ আরও বেশি। শুধু যে শ্বেতাঙ্গরাই এ রোগে আক্রান্ত তা নয়, কৃষ্ণাঙ্গ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরাও এর ভয়াবহতার শিকার। যৌনবাহিত রোগ এসটিআই এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়েছে। তাদের ৪৮ শতাংশ-ই ২০১৭ সালে আক্রান্ত হয়েছেন।

২০১৫ সাল থেকে দেশটির জন্মনিরোধন ক্লিনিকগুলোতে যৌনবাহিত রোগ পরীক্ষলের হার ৬১ শতাংশ কমে গেছে। এতেই গবেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে অনেকেই বলেছেন, যৌন বাহিত রোগ পরীক্ষাকরণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো এখন অনেক সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায়, অনেকে বাড়িতেই পরীক্ষা করে থাকেন।

২০১৭ সালে দেশটিতে ৭ হাজার সিফিলিস আক্রান্ত রোগী ক্লিনিকগুলোতে এসেছে। অন্যদিকে গনোরিয়া আক্রান্ত রোগী এসেছে ৪৬ হাজার। যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথ বিভাগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। চলতি বছরের মার্চে দেশটিতে এক ব্যক্তির শরীরে প্রথম সুপার গনোরিয়া ধরা পড়ে। ব্রিটিশদের ধারণা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ওই ব্যক্তি সুপার গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে কয়েকদিন পরই অস্ট্রেলিয়াতে দুই ব্যক্তির শরীরে সুপার গনোরিয়া ধরা পড়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে সুপার গনোরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ কনডম ব্যবহারের জন্য তরুণদের উৎসাহিত করে আসছে।

সূত্র: বিবিসি
এমজে/