ম্যারাডোনার কারণে আলোচিত বিশ্বকাপ
প্রকাশিত : ১১:০৭ এএম, ৭ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:৪৬ পিএম, ৭ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার
বিশ্বকাপের ১৯৮৬ সালের আসর ব্যাপক আলোচিত হয় ম্যারাডোনার কারনে। আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ের পেছনে দূর্দান্ত অবদান রাখেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার। ১৯৯০ সালের সোনালী ট্রফি ঘরে তোলে জার্মানি। আর ১৯৯৪ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর আবারো স্বপ্নীল ট্রফি জয় করে সাম্বার দেশ ব্রাজিল।
১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের ১৩তম আসর অনুষ্ঠিত হয় মেক্সিকোতে। ৩১ মে থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় বর্নিল এ টুর্নামেন্ট। এতে অংশগ্রহন করে ২৪টি দেশ। বিশ্বকাপের এই আসরের জন্য প্রথমে কলম্বিয়াকে নির্বাচিত করলেও অর্থনৈতিক সমস্যায় পরবর্তীতে আয়োজক হয় মেক্সিকো। শিরোপাজয়ী আর্জেন্টিনভ দলের নেতৃত্ব দেন দিয়াগো ম্যারাডোনা। টুর্নামেন্টের কোয়াার্টার-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কুখ্যাত “হ্যান্ড অফ গড” এবং “শতাব্দীর অন্যতম সেরা গোল” হিসেবে নির্বাচিত গোল দুইটি করেন ফুটবল জাদুকর। ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা জয় করে আর্জেন্টাইনরা।
১৯৯০-এ দ্বিতীয়বারের মত ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসেছিলো ইতালিতে। মোট ২৪ দলের অংশ গ্রহণে ১২টি শহরে সমান ভেন্যুতে ৩১ দিনে ৫২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে উঠার লড়াই স্বাগতিক ইতালির বিপক্ষে নাটকীয় পেনাল্টি শুট আউটে ফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনা। আরেক সেমিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একই ঘটনায় টানা তৃতীয় বারের মতো ফাইনালে উঠে জার্মানরা। শিরোপার শেষ হাসিটাও হাসে জার্মানি। ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতেন সালভাতোরে সিলাচি।
১৯৯৪ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ আসরে ৬ গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ স্কোরার হন রাশিয়ান স্যালিনকো এবং বুলগেরিয়ান রিস্টো স্টইচকভ। একমাস ব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের ৯ শহরের ৯টি স্টেডিয়ামে বসে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের এ আসর। নিষিদ্ধ ড্রাগ এফেড্রিন নেয়ার ঘটনা প্রমাণ হওয়ায় আসরের মাঝপথে নিষিদ্ধ হন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার ম্যারাডোনা। রোসবোল স্টেডিয়ামের ফাইনালের মহারণে পেনাল্টি শ্যুট আউটে ইতালিকে কাঁদিয়ে শিরোপা জয় করে ব্রাজিল।
/ এআর /