তিশার স্বপ্ন পূরণ
প্রকাশিত : ০২:৪৫ পিএম, ৭ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার
মনে আশা ছিল নৃত্যশিল্পী হওয়ার। কিন্তু সেই আশা বেশিদিন লালন করতে পারেনি মেয়েটি। পড়াশোনার কারণে আর পারিবারিক বাধায় সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যায়। তাই বলে থেমে যায়নি সে। একসময় মা-বাবাকে রাজি করিয়ে মিডিয়ায় প্রবেশ করেন। শুরু করেন কাজ। এরপর অল্প অল্প করে এগিয়ে চলা। সেই থেকে শুরু। বর্তমানে প্রচন্ড ব্যস্ত মডেল অভিনেত্রী তানজিন তিশা। যদিও নাচের সঙ্গে সংসার হয়নি, তবে মডেলিং, অভিনয় নিয়ে এখন তার সব ব্যস্ততা।
মডেলিং দিয়ে শুরু হয় তার মিডিয়ার আলোকিত ক্যারিয়ার। প্রথমেই অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় ‘রবি’র একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করে বাজিমাত করেন তিনি। এই কাজটিই ছিল তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এরপর তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। নামিদামি পণ্যের মডেল হয়ে নিজের একটা পোক্ত অবস্থানে দাঁড় করিয়ে শুরু করেন নাটক ও টেলিছবির কাজ। ‘ইউটার্ন’, ‘আপন কথা’, ‘ময়না টিয়া’, ‘সোনালি রোদ্দুর’, ‘এই শহরে মেয়েরা একা’, ‘অচেনা বন্ধু’ নাটকে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়।
নাটকের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওর কল্যাণে আরও লাইমলাইটে আসেন তিনি। ইমরানের ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ গানের মডেল হয়ে হৈচৈ ফেলে দেন। গানটি দর্শক-শ্রোতা বেশ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটি গানের মডেল হিসেবে তাকে দেখা যায়। আসছে ঈদে বেশ কয়েকটি নাটকে দেখা যাবে তাকে।
তিশা বলেন, সারাবছরই আমি একক নাটক নিয়েই ব্যস্ত থাকি। ভালো গল্প ও ভালো নির্মাতার নাটক পেলে সেই সুযোগ আমি কোনো সময়ই হাতছাড়া করি না। এখনই তো পরিশ্রম করে নিজেকে শক্ত একটা জায়গায় দাঁড় করানোর সময়। সে জন্য নিজের ব্যক্তিগত অনেক কাজ ফেলেও শুটিং করতে হয়।
গত বছরের ঈদের তুলনায় আসছে ঈদে তানজিন তিশাকে ছোটপর্দায় বেশি দেখা যাবে। এরই মধ্যে তিনি অভিনয় করেছেন গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘জোড়া শালিক’, ‘ভিতর বাহির’; মিজানুর রহমান লাবুর ‘আমার কেউ আছে’, আদিত্য জনির ‘অথৈ নীলিমা’, মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘চশমায় লেগে থাকা ভালোবাসা’, ‘ছাত্র’, ‘হোম টিউটর’; রাহাত মাহমুদের ‘আমার দেশের যেজন’সহ কয়েকটি নাটকে।
ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে তৃপ্ত অভিনেত্রী। পথ চলতে চান আরও অনেক দূরের। তবে নাচের স্বপ্ন সেইভাবে পূরণ না হলেও মিডিয়ার সঙ্গে আছেন এতেই কৃতজ্ঞতা। তার মতে, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে এগিয়ে যাচ্ছেন এতেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার।
এসএ/