গর্ভপাত নিষিদ্ধই থাকল উত্তর আয়ারল্যান্ডে
প্রকাশিত : ০৯:২৮ এএম, ৮ জুন ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:২৯ এএম, ৮ জুন ২০১৮ শুক্রবার
নির্বাচনে জিতেও শেষ পর্যন্ত গর্ভপাত নিষিদ্ধই থাকছে উত্তর আয়ারল্যান্ডে। ব্রিটেনের সর্বোচ্চ আদালত গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ রাখার রায় দেয়। তবে এ সম্পর্কিত বর্তমানে বলবত থাকা আইন মানবাধিকারের সাথে অসংগতিপূর্ণ বলেও মতামত দেয় আদালত।
গর্ভপাতের পক্ষে অনুমতি চেয়ে উত্তর আয়ারল্যান্ডের মানবাধিকার কমিশনের (এনআইএইচআরএস) দায়ের করা এক আপিল আবেদন গতকাল খারিজ করে দেয় সুপ্রীম কোর্ট। তবে রায়ে বলা হয় যে, এখন যে আইনটি সেখানে বলবত আছে তা মানবাধিকারের সাথে অসংগতিপূর্ণ এবং তাঁর সংস্কার দরকার। অভিযোগের শুনানিতে আট জন বিচারক অংশ নিয়েছিলেন।
সুপ্রীম কোর্ট বলছে, আপিলের আইনগত ভুলের কারণে আবেদনটি খারিজ করা হয়েছে। বিচারকদের মতে, এই আবেদনটি একজন গর্ভবতী নারীর করা অধিকার ছিল যিনি কোন ধরণের যৌন অপরাধের কারণে গর্ভবতী হয়েছেন অথবা যার গর্ভের ভ্রুণে বড় ধরণের অস্বাভাবিকতা আছে। মানবাধিকার কমিশনের এই আপিল আবেদনের এখতিয়ার নেই এই মর্মে আবেদনটি খারিজ করা হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে, এক গণভোটে উত্তর আয়ারল্যান্ডের জনগণ গর্ভপাতের পক্ষে ভোট দেয়। ধারণা করা হচ্ছিল যে, এর ফলে সেখানে গর্ভপাতের আইন সংশোধন হবে এবং নারীরা স্বেচ্ছায় গর্ভপাতের অধিকার পাবেন। কিন্তু আদালতের এই রায়ে প্রক্রিয়াটি এখনও ঝুলে থাকলো।
তবে আদালতের রায়ে এখনই আইন পরিবর্তন না হলেও আদালত তার রায়ের মতামতে বলেন যে, আইনটি সংস্কার হওয়া দরকার। কারণ বর্তমান আইন মানবাধিকার আইনের সাথে অসংগতিপূর্ণ। উপরন্তু ইংল্যান্ডের ১৯৬৭ সালের গর্ভপাত আইন উত্তর আয়ারল্যান্ডে প্রযোজ্য না। এর ফলে সেখানকার সরকারকেই এখন এই আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে। আর এতেই জটিলতা ঘনীভূত হয় আরও বেশি। কারণ ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে উত্তর আয়ারল্যান্ডে কোন নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্ত নেই।
ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সরকারকে এই গর্ভপাত বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। সেখানকার কেন্দ্রীয় সচিব ক্যারেন ব্র্যাডলে হাউজ অব কমনসে জানান যে, সেখানকার সরকার বেশ গুরুত্বের সাথে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।