কারাগারে অসুস্থ কণ্ঠশিল্পী আসিফ
প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ৮ জুন ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৩৯ পিএম, ৮ জুন ২০১৮ শুক্রবার
কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। তার উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেছে। বুধবার সংগীত শিল্পী শফিক তুহিনের করা মামলায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বজনরা।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী আসিফের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়ার পর থেকে এ শিল্পী কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
কারাসূত্র থেকে জানা যায়, আসিফকে কারাগারের সাধারণ সেলে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। তবে তাকে কারা মেডিকেল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।
আসিফের স্ত্রী সালমা আসিফ মিতু তার স্বামীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসিফের অসুস্থতার চিকিৎসা সনদ আইনজীবীরা আদালতে উপস্থাপন করেছেন। নিয়মিত ওষুধ না খেলে তার উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়বে। আসিফকে নিয়ে আমি চিন্তিত।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় তেজগাঁওয়ের এফডিসি এলাকায় নিজ স্টুডিও থেকে আসিফ আকবরকে গ্রেফতার করে সিআইডির একটি টিম। পরে সিআইডি জানায়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তেজগাঁও থানায় সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের করা একটি মামলায় আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ মামলার বিষয়ে আসিফের স্ত্রী মিতু জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে বলেন, শফিক তুহিনের অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়৷ এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি৷ আসিফ আগে থেকে কিছুই জানতেন না৷
এদিকে গ্রেফতারের পর বুধবার আদালতে হাজির করা হলে আসিফ বলেন, ২০০৮ সালে একটি চুক্তি হয়েছিল। এর পর ২০১৪ সালে নতুন আইন হওয়ায় আগের চুক্তি মোতাবেক কেউ-ই লাভবান হয়নি। আমার বিরুদ্ধে যারা মামলা করেছেন, তারাই আমার আগে ফেসবুকে কমেন্ট (কটূক্তি) করেছে। তারাই আমার মানহানি করেছে। কিন্তু আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করিনি। গত তিন বছর ধরে তারা এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করছে। বিষয়টি নিয়ে দুবার মোহাম্মদপুর থানায় গিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে গ্রামীণফোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই। এ অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ফেসবুকে আমি কোনো হুমকি দিইনি। আমার ভক্তরা দিতে পারেন। আদালতের ডকে (আসামি রাখার নির্ধারিত স্থান) দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সব সময়ই আসিফের মুখে হাসি ছিল।
এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারার এক শিল্পীর করা মামলায় আরেক শিল্পী আসিফের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে সংগীতাঙ্গনে বইছে সমালোচনার ঝড়।
এ বিষয়ে শিল্পী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আলাউদ্দীন আলী বলেন, যে ঘটনা ঘটে গেছে সেটি দুঃখজনক৷ আমি নিজে ক্যান্সারের রোগী৷ ফলে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে পারিনি৷ তবে অনেক সিনিয়র শিল্পী উদ্যোগ নিয়েছেন৷ আশা করি, সমাধান হয়ে যাবে৷ যা ঘটে গেছে, এটি কাম্য ছিল না৷ আগেই উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিল৷
এসি