ঢাকা, শনিবার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও নজরকাড়া কারুকাজের জন্য সুখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ি

প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ২৮ জুন ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:১৪ পিএম, ২৮ জুন ২০১৬ মঙ্গলবার

হাজার বছরের ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ধারক টাঙ্গাইল শাড়ি। বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও নজরকাড়া কারুকাজের জন্য এর সুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী। প্রাচীন কাল থেকে তন্তুবায়ী গোত্রের বসাক সম্প্রদায়ের তাঁতীরা বংশ পরম্পরায় তৈরি করছেন টাঙ্গাইল শাড়ি। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ও হিউয়েন সাংয়ের ভ্রমণ কাহিনীতেও রয়েছে এই শাড়ির কথা। এক সময় রাজা-জমিদার ও ধর্নাঢ্য পরিবারের নারীদের পোশাক ছিলো টাঙ্গাইল শাড়ি। জানা যায় বসাক সম্প্রদায়ের তাঁতিরাই টাঙ্গাইলের আদি তাঁতি। শুরুতে সিন্ধু অববাহিকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে এসে তাঁতের কাজ শুরু করেন তারা। সেখানকার আবহাওয়ায় শাড়ির মান ভালো না হওয়ায় চলে আসেন বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে। এরপর দু’দলে ভাগ হয়ে চলে যান কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও ঢাকার ধামরাইয়ে। অনেক বসাক বসতি স্থাপন করেন টাঙ্গাইলে। তারা শুরু করেন মিহি সুতার শাড়ির বুনন। চারিদেকে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইল শাড়ির নাম। ১৯৪৭-এর দেশভাগ এরপর ১৯৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধের পর অনেক বসাক তাঁতী ভারতে চলে গেলেও অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও যুক্ত হন এই তাঁত শিল্পের সঙ্গে। বসাক তাঁতীদের কাছ থেকে শিখে টাঙ্গাইলের তাঁতীরা আজও ধরে রেখেছেন ঐতিহ্য। অন্দরমহলের সেই গণ্ডি পেরিয়ে এখন প্রায় সব রমণীদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই শাড়ি। জেলায় প্রায় ৮০ হাজার তাঁতে কাজ করেন ৪ লাখ শ্রমিক। শাড়িতে ফুটিয়ে তুলছেন নানা রকমের নকশা। চরকা কাটা, রঙ করা ও জরির কাজে হাত লাগান বাড়ির নারীরা। দুইশ থেকে শুরু করে আজকে ৫০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয় বিশ্বখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ি।