ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

বাপ-দাদার মতো বোকা না কিম

প্রকাশিত : ১২:৩৭ পিএম, ১২ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার

অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়) সিঙ্গাপুরের স্যান্টোসা দ্বীপের হোটেল দ্য ক্যাপেলোতে এই বৈঠক শুরু হয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রাম্পের সঙ্গে এ বৈঠক থেকে কি চান কিম। সম্প্রতি দেওয়া এ বক্তব্যের মধ্যেই এ প্রশ্নের উত্তর নিহিত রয়েছে। চলতি বছর নববর্ষের ভাষণে কিম বলেন, দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি অর্জন করেছি আমরা। এখন থেকে আমরা আর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে চাই না। এখন উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিতে চাই আমরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কিমের এ বক্তব্যই প্রমাণ করে বাপ-দাদার মতো বোকা নন তিনি। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য ত্রাণ নয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ চান কিম।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কিম তার নিজের স্বার্থেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন চান। কারণ আরও অনেকটা সময় উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় থাকতে চান তিনি। আর দেশটির অর্থনৈতিক উন্নতির ওপরই নির্ভর করছে তার ক্ষমতা।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এই দেশটিকে তিন পুরুষ ধরে শাসন করে আসছে কিম পরিবার। ১৯৫০-৫৩ পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের মাধ্যমে আলাদা হওয়ার পর গত ৬৮ বছরে অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহোদর দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও প্রতিবেশী মিত্র দেশ চীন ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। কিন্তু কিমের বাপ-দাদার নানা ভুল নীতির কারণে ক্রমেই অবনতির শেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছে উত্তর কোরিয়া।

প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হলেও বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে গরিব ও ক্ষুধাপীড়িত দেশগুলোর অন্যতম দেশ উত্তর কোরিয়া। দেশটির নাগরিকরা মৌলিক অধিকারগুলো থেকেও বঞ্চিত। কিম জং উন ও তার পরিবারের প্রতি পুরোপুরি আনুগত্য দেখিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে সেখানকার নাগরিকদের।  

উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার নেতা এবং কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টর মধ্যে এটি প্রথম বৈঠক। বৈঠক শেষে সিঙ্গাপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরে রাতে সিঙ্গাপুর ছাড়বেন তিনি। বিরল এ বৈঠকের সংবাদ সংগ্রহ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াই হাজার সাংবাদিক ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন।

একে//