ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘যারা মৃত্যুর গুজব ছড়ায় তাদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ’  

প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ১২ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:৫৩ পিএম, ১২ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার

বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামছুজ্জামান মারা গেছেন এমন একটি সংবাদ সকাল থেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। এমন ঘটনায় ভিষণ ক্ষুব্দ হয়েছেন এটিএম শামছুজ্জামান। তিনি বলেন, আমি এখনো মরিনি। জীবিত আছি।    

এদিকে এটিএম এটিএম শামসুজ্জামানের মতো কিংবদন্তী অভিনেতার মৃত্যুর গুজব যারা ছড়ায় তাঁদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

তিনি বলেন, এখন কম বেশ অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে। কিন্তু অনেক ব্যবহারকারীই ভালো করে বোঝে না কীভাবে এটি ব্যবহার করতে হয়। তাই হোমপেজে কোনো একটা খবর পেলেই তা শেয়ার করতে থাকে। এই অভিনেতা বলেন, আমি কাউকে ছোট করে বলছি না, কারা ফেসবুক ব্যবহার করবে কারা করবে না এটারও বিষয়েও একটা মানদণ্ড দরকার।

গুজব বিশ্বাস করে স্ট্যাটাস প্রদানকারী কিছু অভিনয় শিল্পী ও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে জায়েদ খান বলেন, আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ স্থানে অন্তত এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল। আপনারা কীভাবে গুজব ছড়ান? আপনারা কখনো শিল্পীর ভালোমন্দ খোঁজ খবর নেন না, কিন্তু মৃত্যুর খবর প্রকাশে, শোক প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে যান। এটা কেমন কথা। আপনাদের সংগঠন আছে, সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে যোগাযোগ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

জায়েদ খানে মতে এই ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা উচিত। তিনি নবলেন, ইউটিউব ফেসবুক যেখান থেকেই গুজব ছড়ানো হোক না কেন। এদের খুঁজে বের করে সাইবার আইনে বিচার করা উচিত। একটি গুজব শুধু গুজব থাকে না, একটি পরিবারকে দুর্বিষহ করে তোলে। চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্পী ও কুশলীদের এরকম খবর অস্থির করে ফেলে।

সোমবার দিবাগত রাতে ছড়িয়ে পড়ে জনপ্রয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর খবর। এরপর দুটি টেলিভিশন চ্যানেলেও প্রচার করা হয় জনপ্রিয় এই অভিনেতার মৃত্যুর খবর। সেই সূত্র ধরে চিত্রতারকারাও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতে দেরি করেননি যে তিনি মারা গেছেন।

এসি