ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১১:১৩ পিএম, ১২ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:০৭ পিএম, ১৩ জুন ২০১৮ বুধবার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিএনপির রাজনীতিতে সংকটের কালো ছায়া নেমেছে। এখান থেকে আর উত্তরণ সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা কারও দয়ায় না, জনগণের সমর্থন নিয়ে আবার ক্ষমতায় আসবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডির হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একে এম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক খান প্রমুখ।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভারত গেলো, দ্যান-দরবার করলো, আর আমরা গেলাম, তারা অভিযোগ করলো। ভারতে গিয়ে কার সঙ্গে কী আলাপ করলো এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমার দেশের জনগণ আমাদের পক্ষে আছে। বিদেশি শক্তি আমাকে ক্ষমতায় বসাবে না। দেশের জনগণই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসাবে। আমাদের আস্থা আছে। তাদের তো কাজই হচ্ছে নালিশ করা। তারা দেশেও নালিশ করে, বিদেশে গিয়েও নালিশ করে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গত ৪৩ বছর রাজনীতিতে এত সৎসাহস শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ দেখাতে পারেনি। ৪৩ বছরে সবচেয়ে সফল রাজনৈতিক ব্যক্তি, সফল কূটনৈতিক তিনি। এটা আমাদেরকে গর্বিত করে। শেখ হাসিনা জি-৭ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সমস্যা, ধনী-গরিবের বৈষম্য নিয়ে ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১১ মাস পরে শেখ হাসিনা মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু এদেশে আরেকজন নেত্রী আছে, তাকে কীভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে? শুনতে পেয়েছি ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা তখনো তিনি সেই সাবজেলে রাখার অনুমতি পেয়েছিলেন। যেটা জেল কোড এলাউ করে না। কী অপমানজনকভাবে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল! বঙ্গবন্ধুর কন্যার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার দ্বিগুণের বেশি মামলা শেখ হাসিনার নামে দেওয়া হয়েছিল। নেত্রীকে শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সবচেয়ে বড় পথ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত করা। থানা পর্যায়ে দু-একটা আনুষ্ঠানিক প্রোগ্রাম না করে ঘরে ঘরে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। এখন থেকে দলের সব সাংগঠনিক কাজ একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, মনোনয়ন দেবে মনোনয়ন বোর্ড। যার চেয়ারম্যান দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার কাছে সব খবর আছে, এই মহানগরীতে যারা উইনেবল প্রার্থী, মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য এটা নিয়ে নিজেরা ঝগড়া করবেন না। অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পড়লে আমাদের প্রতিপক্ষরা লাভবান হবে। প্রার্থিতা নিয়ে অহেতুক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।

তিনি বলেন, দেশের বেশির ভাগ জেলায় কমিটি হয়ে গেছে। এক মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি করতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্যাম্পিং করে সহযোগিতা করবে। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। দেশের জনগণ যখন সরকারের অর্জনে খুশি হয় তখন একটা মতলবি মহল অখুশি হয়। মানুষকে খুশি করার জন্য মাদকবিরোধী, ভেজালবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

এসএইচ/