ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

যে সেলফিতে মৃত্যুভয়ে দেশ ছাড়তে হলো!  

প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ১৪ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার

আধুনিক যুগে সেলফি একটি নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। তবে সেলফি তুলতে গিয়ে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে বসেন। কিন্তু স্বাভাবিক একটি সেলফি তোলার পর তার জন্য যদি দেশ ছাড়তে হয় তাহলে কেমন হয়? তাও মৃত্যুভয়ে? এমনই এক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন মিস ইরাক সারাহ ইদান।

২০১৭ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ‘মিস ইরাক’ সারাহ ইদান। এরপর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার সময় তার দেখা হয় ‘মিস ইজরায়েল’ আদার গ্যান্ডেলসম্যানের সাথে। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। এ পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও ‘ভুল’ করে বসেন মিস ইজরায়েলের সাথে সেলফি তোলার মাধ্যমে। মুহুর্তের মধ্যে সেই সেলফি সারাহ’র ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল থেকে ভাইরাল হয়ে যায়। একের পর মৃত্যুর হুমকি পেতে থাকেন সারাহ।

ইজরায়েলের নাগরিকের সাথে সেলফি তোলার ‘অপরাধে’ বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কাছ থেকে হুমকি পেতে শুরু করেন সারাহ। হুমকির ব্যাপকতা এত বেশি ছিল যে, শেষ পর্যন্ত ইরাক ছাড়তে বাধ্য হন সারাহ। তাও সপরিবারে।  

তিনি বলেন, “আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম খুবই। শেষ পর্যন্ত পুরো পরিবারকে নিয়ে আমার দেশ ছাড়তে হয়। তবুও আমি সেলফিটি মুছে ফেলিনি। এমনকি মিস ইরাক সংস্থাও আমাকে সেলফিটি মুছে ফেলতে বলে। কিন্তু আমি তা মুছে ফেলিনি”।  

সেলফি তোলার মুহুর্তটিও বেশ রোমাঞ্চকর বলে জানান সারাহ ইদান। তিনি বলেন, “আদার দূর থেকে আমাকে দেখছিল। আমি বুঝতেছিলাম যে সে আমার সাথে কথা বলতে চায়। তবে সে সন্দিহান ছিল যে, তাতে আমার প্রতিক্রিয়া কেমন হয়”।

বিষয়টি মেনেও নেন মিস ইজরায়েল আদার গ্যান্ডেলসম্যান। তিনি বলেন, “আমি ভয় পাচ্ছিলাম তার কাছে আসতে। কথা বলতে। সে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। তখন সারাহ বলল যে, এটা কোন সমস্যা না। তখন এসে আমরা কথা বললাম। কথা বলার অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বন্ধু হয়ে গেলাম। এরপর ছবিটি তুললাম। আমরা চেয়েছি সবাই দেখুক যে, আমরা বন্ধু”।

আমেরিকান ইহুদি কমিটির আয়োজনে বর্তমানে ইজরায়েল অবস্থান করছেন সারাহ। সেখানে প্রায় ছয় মাস পর বান্ধবী আদারের সাথে দেখা হয় তার। তিনি বলেন, “ইজরায়েল আমার কাছে ব্যতিক্রম কিছু মনে হচ্ছে না। এখানে অনেকেই আরবী বলে। আমি আগে সিরিয়ায় থাকতাম। ইজরায়লে এসে অনেকটা দামেস্কের কথা মনে পরছে”।

সূত্রঃ বিবিসি   

//এস এইচ এস//এসি