আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন
প্রকাশিত : ০৭:৫৬ এএম, ১৫ জুন ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১০:১৬ এএম, ১৫ জুন ২০১৮ শুক্রবার
‘আবার এসেছে আষাঢ়, আকাশ ছেয়ে, আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে।’ অথবা ‘ঐ আসে ঐ ঘন গৌরবে নব যৌবন বরষা, শ্যাম গম্ভীর সরসা–।’ -কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বরণ ধ্বণী বলে দিচ্ছে আষাঢ় আসে বৃষ্টির সুবাস নিয়ে। পুষ্প-বৃক্ষে, পত্রপল্লবে, নতুন প্রাণের সঞ্চার করে, নতুন সুরের বার্তা নিয়ে সবুজের সমারোহে আসে বর্ষা।
আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। যদিও অনেক আগেই বৃষ্টির দেখা পেয়েছে নগরবাসী। বলা যায় অনেকটা আগাম বর্ষা চলেছে দেশে। গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতা ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি এখন সাজার অপেক্ষায়।
নদীতে উপচে পড়া জল, আকাশেও ঘন মেঘের ঘনঘটা। কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই। গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ যখন পুড়ছে তখন ব্যাপক আয়োজনে বর্ষার এই ঝুম ঝুম বৃষ্টির বরণডালা অনেক আগেই মনে করিয়ে দিয়েছে বর্ষাতো এসেই গেছে।
বর্ষার সতেজ বাতাসে জুঁই, কামিনি, বেলি, রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপা আরো কত ফুলের সুবাস। লেবু পাতার বনেও যেন অন্য আয়োজন। উপচে পড়া পদ্মপুকুর রঙিন হয়ে ফোঁটে বর্ষাকে পাওয়ার জন্য। কেয়ার বনেও কেতকীর মাতামাতি।
আষাঢ় বাংলা সনের তৃতীয় মাস। এটি বর্ষা মৌসুমে অন্তর্ভূক্ত দুই মাসের প্রথম মাস। আর নামটি এসেছে পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে।
অনেকেই মনে করেন, বর্ষা যেমন আনন্দের, তেমনি হঠাৎ বিষাদে ভরিয়ে তোলে জনপদ। তবুও বর্ষা বাঙালী জীবনে নতুনের আবাহন। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলীর আস্তরণে আনে জীবনেরই বারতা। সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা বাঙলা মায়ের নবজন্ম এই বর্ষাতেই। সারা বছরের খাদ্য-শস্য-বীজের উন্মেষতো ঘটবে বর্ষার ফেলে যাওয়া অফুরন্ত সম্ভাবনার পলিমাটি থেকে।
সূত্র : বাসস
এসএ/