অভিবাসী নীতি
শিশু নির্যাতন করছে ট্রাম্প প্রশাসন: মানবাধিকার কমিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৩ পিএম, ১৯ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অভিবাসী শিশুদেরকে নথিভূক্ত না করে তাদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন করার যে ষড়যন্ত্র করছে ট্রাম্প প্রশাসন তার কড়া সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশন। যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া এ ধরণের পদক্ষেপকে ‘সরকার অনুমোদিত শিশু নির্যাতন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনের প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেইন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন অভিবাসন প্রশ্নে ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া এই ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র তীব্র সমালোচনা করে বলেন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন শিশুরা এমন অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হতে পারে, যা তাদেরকে জীবনভর বয়ে বেড়াতে হবে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিকস-এর প্রেসিডেন্টের একটি পর্যবেক্ষণকে উদ্ধৃত করে রাদ আল হুসেইন বলেন, “শিশুদেরকে তাদের মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন করে আটকে রাখাটা ‘সরকার-অনুমোদিত শিশু নির্যাতন’। শিশুদের ওপর এ ধরনের নির্যাতন চালিয়ে মা-বাবাকে ভয় দেখানো ‘বিবেক বর্জিত’ পদক্ষেপ।”
জানা গেছে, গত ৬ সপ্তাহে মেক্সিকো সীমান্তে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’র বলি হয়েছে প্রায় ২ হাজার শিশু (১৯৯৫ জন)। ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া জিরো টলারেন্স নীতিতে সীমান্ত পেরিয়ে আসা সব মানুষকেই আইনের আওতায় নেওয়া হচ্ছে। শিশুরা আইনের চোখে অপরাধী না হওয়ায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাদের জায়গা হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন আটককেন্দ্রে।
অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের জিরো টলারেন্স নীতির বিরোধিতা করে সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশসহ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন নেতা এর বিরোধীতা করেছেন। এর আগে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের এক মুখপাত্রও জানান, তিনি (মেলানিয়া) পরিবারের কাছ থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করাকে ঘৃণা করেন। তিনি আশা করেন, কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই পক্ষ শেষ পর্যন্ত অভিবাসন আইন সংস্কারের প্রশ্নে একমত হতে পারবে।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
এমজে/