নির্মাণ ত্রুটির কারণে ঘটে নৌ-দুর্ঘটনা
প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৬ সোমবার
নৌ-যান নির্মাণ শিল্পে, বাংলাদেশ খুব একটা নতুন নয়। কিন্তু, নির্মাতাদের প্রকৃত নকশা অনুসরনে জাহাজ নির্মানে আগ্রহ খুব একটা নেই। বেশি লাভের মানসিকতায় মূল নকশার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে, নির্মান করা হয়। তাই, এই লঞ্চগুলো র্দূযোগে কিংবা ঝড়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে না। ঘটে, দূঘটনা বলেই মত নৌ-স্থপতি ও নৌ পরিবহন বিশেষজ্ঞদের। এই, কাজে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর আরো বেশি, শক্ত অবস্থান ও কার্যকর ভূমিকা নেওয়া উচিত বলেই মত তাদের।
অভ্যান্তরীণ রুটে, দেশে নৌ পথ ছয় হাজার কিলোমিটার। সব মিলিয়ে ৭৪টি রুটে ছোট-বড় মিলিয়ে, নৌ-যান চলাচল করে, প্রায় ২০ হাজার। পরিসংখ্যান বলছে, প্রাকৃতিক বৈরিতার চেয়ে, নৌ-যানের নির্মান ত্র“টির কারণে, সবচেয়ে বেশি ঘটে নৌ-দুর্ঘটনা।
আর, এসব, নকশার আর্ন্তজাতিক মান রক্ষিত হচ্ছে কিনা এবং কারা নকশা তৈরী করছে, এ নিয়েও আছে বিস্তর অভিযোগ।
আবার, যেটুকু নকশা হয়, তাও থাকে কাগুজে; বাস্তবে নির্মিত জাহাজের সাথে থাকে, এর বিস্তর ফারাক। পানিতে কোন বস্তু ভেসে থাকার জন্য অপরিহার্য বৈজ্ঞানিক শর্ত গুলোও অতিলোভে চাপা পড়ে যায়।
আর নির্মাণ কারিগরদের প্রকৌশল বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকলেও, তাদের হাতেই তৈরী হচ্ছে বিশাল বিশাল জাহাজ। নির্মাণ-ত্র“টি নিয়েই, মডিফাইড জাহাজ পানিতে নামছে, চলাচল করছে, তাও যথাযথ যাচাই-বাচাই ছাড়াই।
কি পরিমান ঝড় সইবার ক্ষমতা আছে, সেটা নিয়ে জাহাজ মালিকরা মাথা ঘামান না; বরং, তারা মনে করেন, ঝড় কিংবা র্দূঘটনা প্রাকৃতিক ব্যাপার, এতে তাদের কোনই হাত নেই।
তবে, ফিটনেস ছাড়া কোন ধরনের নৌ-যান বর্তমানে চলাচলের সুযোগ সীমিত বলে দাবি করছেন, সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থাপ্রধান।