১২ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে আম
প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ২০ জুন ২০১৮ বুধবার
আমের দাম তুলনামূলক অনেক কমে যাওয়ায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন রাজশাহীর চাষীরা।
ওই এলাকায় বর্তমানে প্রতি কেজি আম গড়ে ১২ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। তবে আমের এতো কমে যাওয়ার জন্য আবহাওয়াকেই দায়ি করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছর রাজশাহী অঞ্চলে শতকোটি টাকার বাণিজ্য হলেও এবার মন্দার কারণে আমের দাম তলানিতে। ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে একমণ আম। সে হিসাবে প্রতি কেজি আমের দাম পড়ছে সাড়ে ১২ টাকা।
গত ২০ মে থেকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু হয় আম পাড়ার কর্মযজ্ঞ। ওই দিন থেকে গুটি ও গোপাল ভোগ জাতের আম বাজারে ওঠার কথা ছিলো। কিন্তু এবার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পাকেনি গুটি ও গোপাল ভোগ।
১ জুন থেকে হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত ও লক্ষণভোগ এবং ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া বাজারে ওঠার কথা ছিলো। না পাকায় বাজারে ওঠেনি এসব জাতের আমও।
তাপমাত্রা কম-বেশি হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০ মে থেকে ১০ জুন আম পাকার জন্য যে তাপমাত্রার প্রয়োজন ছিল, তা ছিল না। ফলে কমসংখ্যক চাষিই ওই সময়ে গাছ থেকে আম নামাতে পেরেছেন।
আবার ১০ জুনের পর থেকে তাপমাত্র বেড়ে যায়। সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করে ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভ্যাপসা গরমে একসঙ্গে পেকে যায় বেশিরভাগ জাতের আম।
এছাড়াও রোজা থাকায় আমের বিক্রি কমে যায়। মৌসুমের শেষ আশ্বিনা জাতের আম ছাড়া প্রায় সব জাতেরই আম চলে এসেছে বাজারে। আগামী ১ জুলাই বাজারে উঠবে আশ্বিনা আম।
চাষীদের তথ্যমতে, গত মৌসুমে গাছ থেকে হিমসাগর ১৬০০-১৮০০ টাকা, ল্যাংড়া এবং ক্ষিরসাপাত ১৬০০-১৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার দাম অর্ধেকেরও কম। তারপরও ক্রেতা নেই। চাষের খরচই উঠবে না এবার।
রাজশাহী জেলার সবচেয়ে বড় আমের মোকাম পুঠিয়ার বানেশ্বর হাট। এ অঞ্চলে গোপালভোগ আম রয়েছে প্রায় শেষ পর্যায়ে। তারপরও এ মোকামে আমের দাম গত কয়েক মৌসুমের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এখানে গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, হিমসাগর এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা এবং ল্যাংড়া ১১০০-১২০০ টাকা এবং ক্ষিরসাপাত ১২০০-১৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বিভিন্ন জাতের গুটি আমের দাম মণ প্রতি মাত্র ৫০০ টাকা।
এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালি জানান, প্রচণ্ড গরম পড়ায় দ্রুত আম পেকে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এতে বিপাকে পড়েন চাষিরা।
এমএইচ/