অষ্টম আশ্চর্য তৈরি করে নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনব: হাসান সরকার
প্রকাশিত : ০১:১৭ পিএম, ২১ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নিশ্চিত ভরাডুবি জেনেই বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনি সুষ্ঠু পরিবেশের ব্যত্যয় ঘটছে। দ্রুত এ অবস্থার উন্নতি না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি হুশিয়ার করে বলেন, দ্রুত এ অবস্থার উন্নতি না হলে আমি কঠিন সিদ্ধান্ত নেবো। দুনিয়াবাসীকে অবাক করে দেওয়ার মতো কিছু একটা করবো। পৃথিবীতে সপ্তম আশ্চর্য আছে, আমি গাজীপুরে অষ্টম আশ্চর্য সৃষ্টি করে নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনবো।
আজ বৃহস্পতিবার টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় নিজ বাসভবনে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
হাসান সরকার বলেন, গতকাল (বুধবার) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এরপর থেকে পরিস্থিতি উল্টো। স্থানীয় প্রশাসন গণহারে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে। হাসান সরকার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসের পরও গতকাল কাশিমপুর ও কোনাবাড়ি অঞ্চলের অধিকাংশ দায়িত্বশীল নেতাকর্মীর বাড়িতে ডিবি পুলিশ তল্লাশি চালায়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ আওয়ামী লীগের ৫০ থেকে ৬০ জন ক্যাডার নিয়ে রাতে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তারা সেসব বাসায় ভাঙচুর চালায় ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে।
প্রচারে বিঘ্ন ঘটছে কিনা জানতে চাইলে হাসান সরকার বলেন,স্থানীয় প্রশাসনের গণগ্রেফতারের কারণে ও নেতাকর্মীরা পলাতক থাকলে সেটা তো হবেই। পরে তিনি গাজীপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে যান। সেখানে গিয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আমাদের সঙ্গে আছে। তারা নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক সাইয়্যেদুল আলম বাবুল প্রমুখ।
/ এআর /