ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

হতাশাই শেষ কথা নয়: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০৫:১২ পিএম, ২১ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার

বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মাঠে থাকার আহবান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না। লড়াই করতে হবে, লড়াই করতে করতে আমরা একটা জায়গায় গিয়েই পৌঁছাবোই। আমরা এই দেশে কিন্তু বাকশালও দেখেছি। মানুষ কিন্তু জেগে উঠেছে। এই বাংলাদেশের মানুষই কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তুপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উড়ে গেছে। আমাদেরকে সেভাবেই এগোতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশ সভার আয়োজন করে।

দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে যাওয়ার আহবান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন হবে, আমরা ক্ষমতায় যাবো, এটা মনে করার কারণ নেই। আপনাকে আদায় করে নিতে হবে। এজন্য জনগণের কাছে যেতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই।

‘সবসময় একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে একটা কথা বিশ্বাস করি, হোয়েন দেয়ার ইজ ক্রাইসিস গো টু দ্য পিপল, লার্ন ফ্রম দেম। তাদের কাছ থেকে জানো, তারপর সেটাকে প্রয়োগের চেষ্টা করো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশের সব জায়গায় যাবো। মানুষকে জাগ্রত করার চেষ্টা করবো’-যোগ করেন শিক্ষকতা থেকে রাজনীতিতে আসা ফখরুল।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন, হেলিকপ্টার চড়ে ঘুরে ঘুরে ভোট চাইবেন আর বিরোধী দলকে একটা কথাও বলতে দেবেন না, তাদেরকে ধরে ধরে নিয়ে জেলে ভরবেন— এভাবে করলে তো হবে না। নির্বাচনে সমান মাঠ থাকতে হবে। বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন সামাজিক সংস্কৃতি অনুযায়ী এখানে একটি নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে ও সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, গত রাতেও (বুধবার) গাজীপুরের কাশিমপুরে আমাদের দলের ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ কারণে গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে সরানোর জন্য বলে আসছি আমরা। যেদিন আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলো আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলো, তাকেসহ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করলো। আর হাইকোর্ট যেদিন নির্বাচন বন্ধ করলো ওইদিন আমাদের আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ২১৩ জনকে মামলা দিলো। এটা হলো আমাদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এটা হলো আমাদের সিইসি সাহেবের খুলনার মতো নির্বাচন না হওয়ার নমুনা।

বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএফইউজে’র মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে’র সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।

/ এআর /