‘ভেনেজুয়েলায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে নিরাপত্তা বাহিনী’
প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ২৩ জুন ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১০:২৮ এএম, ২৩ জুন ২০১৮ শনিবার
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা দাবি করেছে, ভেনেজুয়েলার নিরাপত্তা বাহিনী বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পরেছে। সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নামে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের।
সম্প্রতি মানবাধিকার কাউন্সিল ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে তাদের একটি প্রতিবেদনে জানায়, দেশটিতে বিগত তিন বছরে যুবক হত্যার সংখ্যা ‘উদ্বেগজনক’ হারে বেড়েছে। এই হত্যাকাণ্ড দেশটির তুলনামূলক অনুন্নত গ্রামগুলোতে হয়েছে। দেশটিতে বাস্তবিক অর্থে ‘আইনের শাসন’ নেই বলেও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। দেশটিতে চলমান দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সময় এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। তবে বরাবরের মতো এসব দাবি নাকচ করেছে ভেনেজুয়েলার সরকার।
সংকটের সূত্রপাত
ভেনেজুয়েলায় পৃথিবীর সব থেকে বেশি পরিমাণ জ্বালানী তেল মজুদ আছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শাসনামলে জ্বালানী তেল থেকে হওয়া মুনাফার একটি বড় অংশ বিনিয়োগ করতেন সামাজিক উন্নয়নে। তবে তার উত্তরসূরী ছোট ভাই এবং দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর কর্তৃত্ববাদী শাসননীতির কারণে ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক অবস্থা এখন বেশ নাজুক।
এমন অবস্থায় ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আর উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং খাদ্য ঘাটতির ক্ষোভে সরকার বিরোধী আন্দোলনে শুধু গত ২০১৭ সালেই ২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। জাতিসংঘ বলছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচশোর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর এসব হত্যাকাণ্ড বৈধ করতে গুলি বিনিময় হওয়ার প্রেক্ষাপট ‘সাজানো’ হয়েছে বলেও জানায় জাতিসংঘ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পায়নি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। তবে সংস্থাটি বলছে, ভেনেজুয়েলার ভিতরে ও বাইরে থাকা প্রায় দেড়শ ভুক্তভোগী ইন্টারনেটে যোগাযোগ করে কাউন্সিলের সঙ্গে। এছাড়াও জেনেভায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ভেনেজুয়েলা থেকে বহিষ্কৃত হওয়া বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী সরাসরি সাক্ষাৎকার দেন কাউন্সিলের কাছে। এদের মধ্যে দেশটির সাবেক অ্যাটর্নী জেনারেল লুইসা ওরতেগাও আছেন। গত বছর মাদুরো তাকে অপসারণ করেন এবং দেশ থেকে বহিষ্কার করেন।
তবে এতকিছুর মধ্যেই গত মে মাসে দেশটিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাদুরো। কিন্তু এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলগুলো।
সূত্রঃ বিবিসি
//এস এইচ এস//