ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

সংকট কাটেনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে

প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ২৩ জুন ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ১২:৩৮ পিএম, ২৩ জুন ২০১৮ শনিবার

অভিবাসন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসলেও সংকট কাটেনি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে। ট্রাম্পের নতুন অভিভাবসন নীতি পাস করার পর দ্বিধায় ভুগছেন সীমান্তের অভিবাসন কর্মকর্তারা।

ট্রাম্পের আগের কঠোর নীতিতে, মেক্সিকান সীমান্তে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে বয়স্কদের থেকে তাদের শিশু সন্তানদের আলাদা করা হয়। বয়স্কদের ঠাই হয় জেলে। অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক আবার সন্তানদের নিয়েই জেলে অবস্থান করেন। তবে গত বুধবার এই নীতি বাতিল করে ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতাবলে আগের আদেশ বাতিল করেন তিনি। আর এতেই নতুন সংকট আর দ্বিধার সৃষ্টি হয় প্রশাসন জুড়ে।

নতুন এই নিয়মের বাস্তবায়ন করতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কর্মীদের হিমশিম খেতে দেখা যায়। কারণ অনেক অভিভাবকই জানেন না যে, তাদের সন্তানেরা কোথায় আছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, গত মে মাস থেকে আলাদা করে নেওয়া দুই হাজার ৩০০ শিশুর মধ্যে প্রায় ৫০০ শিশুকে তাদের অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে মোট কতজন শিশু পরিবারের সাথে জেলে আছেন তার সঠিক হিসেব নেই তাদের কাছে।

তবে কেন্দ্রীয়ভাবে শিশুদেরকে তাদের অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দিতে একটি প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা হচ্ছে বলে ঐ কর্মকর্তা দাবি করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে, অভিভাবকদের থেকে শিশুদের আলাদা করে রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই সাথে প্রাপ্ত বয়স্কদের বিচারের মুখোমুখি করতে আটক করে রাখা হয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় তিন হাজার শিশুদেরকে তাদের পরিবারের থেকে আলাদা করে রাখা হয়।

তবে বিশ্বব্যাপী প্রবল নিন্দা ও চাপের মুখে নিজের এই অবস্থান থেকে সরে আসেন ট্রাম্প। তবে তিনি দাবি করেন যে, দেশের সার্থেই এমনটা করেছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’তে ট্রাম্প বলেন, “প্রায় আট হাজার অপরাধী আমাদের দেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এরা নিজ দেশের পুলিশের হেফাজতে চিহ্ল আর তারা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। কিন্তু তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আমাদের দেশে প্রবেশের জন্য। কারণ আমাদের দেশের আইন দুর্বল। পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে দুর্বল”।

একই বক্তৃতায় গণমাধ্যমেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, “আপনারা শুধু ঐ পক্ষের কথা শোনেন। আমাদের কথা শোনেন না”।

সূত্রঃ আল জাজিরা

//এস এইচ এস//