ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ২

প্রকাশিত : ০৫:৪৪ পিএম, ২৩ জুন ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৬:০৮ পিএম, ২৩ জুন ২০১৮ শনিবার

নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে স্কুলছাত্রী প্রেমিকাকে গণধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পলিশ। শনিবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামের হালিম মিনার ছেলে শাহজালাল মিনা (২৩) এবং একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এনামুল (২৭)।

নড়াইল সদর থানার এসআই মিন্টু, এএসআই আনিসুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, রেজাউল ও ইলিয়াসের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এনামুলকে সুবুদ্ধিডাঙ্গা থেকে এবং শাহজালালকে মাগুরার শালিখা উপজেলার খাটোরসুইতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের পাশাপাশি এনামুলের সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রফিকুল মিনা (৩০) ও মাসুম মিনাকে (২৫) গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, গত ১৯ জুন রাতে নড়াইলের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরেরদিন (২০ জুন) তিনজনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করে ভূক্তভোগী মেয়েটি। নড়াইল সদরের ডাঙ্গাসিঙ্গীয়া গ্রামের ভূক্তভোগী মেয়েটিকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। ঘটনার দিন স্কুল পড়ুয়া মেয়েটি প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে যশোর থেকে নড়াইলে আসছিল। নড়াইলের হবখালী আদর্শ কলেজ এলাকায় পৌঁছালে অটোবাইকটি রাত ৯টার দিকে তাদের নামিয়ে দেয়।

এরপর ওই এলাকার মাসুমের দোকানের কাছে পৌঁছালে ৮-৯ জন লোক তাদের (প্রেমিক-প্রেমিকা) পথরোধ করে। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত রফিকুল মিনা, শাহজালাল মিনা ও মাসুম মিনা হবখালী কলেজ এলাকায় প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে পাটক্ষেতে নিয়ে প্রেমিকা গণধর্ষণ করে এবং বুক, মুখ ও হাতের বিভিন্ন অংশে জখম করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের পর মেয়েটি অসুস্থ হলে পড়লে অভিযুক্ত যুবকেরা তাকে (মেয়েটি) ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। রাত ১২টার দিকে প্রেমিকসহ স্থানীয় তিনজন ভূক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে শাকিলের বাড়িতে নিয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলেন। পরে পুলিশ এসে প্রেমিক-প্রেমিকা উদ্ধার করে নড়াইল সদর থানায় নিয়ে আসে এবং হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে।

এসএইচ/