খামারবাড়িতে মিলছে সতেজ ও বিষমুক্ত ফল
প্রকাশিত : ০৬:৩৮ পিএম, ২৩ জুন ২০১৮ শনিবার
ফলদ বৃক্ষ রোপন এবং রাজধানীর মানুষের ফল সর্ম্পকে পরিচিতি করিয়ে দেওয়ার জন্য ‘অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা, ফলের পুষ্টি দেবে নতুন মাত্রা’ –স্লোগানে নিয়ে রাজধানীর খামারবাড়িতে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৮’। যেখানে সতেজ ও বিষমুক্ত দেশীয় হরেক রকমের জানা-অজানা ফল মিলছে। গতকাল শুরু হয় মেলা চলবে আগামী ২৪ জন পর্যন্ত।
এছাড়া একই দিন থেকে শুরু হয়েছে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ। যা শেষ হবে ৬ জুলাই। রোজ সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭৫টি স্টল বসেছে। মেলায় প্রায় ১৩০ প্রজাতির ফলের একাধিক জাত প্রদর্শিত হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, সারাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সংগ্রহকরা ফল বিভিন্ন স্টলগুলোতে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। যে ফলগুলো সব গ্রাম থেকে সংগ্রহ করা। ফলে একেবারে সতেজ ও বিষমুক্ত।
এছাড়া, আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, লিচু, আনারস ছাড়াও সেখানে স্থান পেয়েছে কাউফল, কামরাঙা, জাম, মারফা, অরবরই, খেজুর, পেয়ারা, আমড়া, বেতফল, নারিকেলী লেবু, আদাজামির, জরালেবু, লটকন, আমলকি, বেল, সুপারি, সিডলেস লেবু, সাতকরা, রাম্বুটান, তৈকর, ড্রাগনফল, করমচা, জাম্বুরা, ল্যাংশায়ার, কদবেল, কাঠবাদাম, ডুমুর, জামরুল, চালতা, বিলিম্বি, নারকেল, আশফল, আঙ্গুর, বিলাতি গাব, সফেদা, জামরুল ও তালের মতো ফল।
সরকারি স্টলগুলোতে এসব ফল রয়েছে শুধু প্রদর্শনীর জন্য।বিক্রির জন্য সেসরকারি উদ্যোগে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে।প্রদর্শনীটি বেসরকারি চাকরিজীবী আতিকুল ইসলাম বলেন, এখান থেকে র্নিভয়ে ফল নেওয়া যায়।সরকারি উদ্যোগে এখানে ফল সংগ্রহ হয়। ফলে কোন ক্যামিক্যাল ব্যবহার করা হয়না। খুব ভাল লাগছে।আগামী কাল সময় পেলে আবার আসবো।
রাজীব নামে এক দর্শনার্থীর তার ৮ বছরের ছোট মেয়েকে শিরিনাকে নিয়ে আসছে মেলাতে। বিভিন্ন ফলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে। শিরিনা এতো ফল একসঙ্গে দেখে অনেক আনন্দ পাচ্ছিলো।
বেসরকারি স্টলগুলো থেকে আসা দর্শনার্থীরা সুনির্দিষ্ট ও সাশ্রয়ী মূল্যে রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল ক্রয় করতে পেরে ব্যাপক আনন্দ প্রকাশ করেছে কাছে। তবে সেসব স্টলগুলোতে রয়েছে শুধু আম, কাঁঠাল, আনারস, ড্রাগনফল, লিচু, কলার মতো কয়েকটি ফল। এসব বিক্রেতাদের কেউবা সরাসরি কৃষক বা নিজের চাষকৃত ফল বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। বাকিটা বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের স্টল। এব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক মফিদুল ইসলাম একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, ফলদ গাছ রোপন এবং ফল সর্ম্পকে রাজধানীর মানুষের পরিচিত করতে এই প্রদর্শনীরর আয়োজন করা হয়েছে।
এবারের ফল মেলায় ৯টি সরকারি ও ৫১টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮১টি স্টল রয়েছে। মেলায় আমের ১০২টি জাতসহ ৯৯ প্রজাতির ফল প্রদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রচলিত ফল ৫৪, অপ্রচলিত ৩৬ ও বিদেশি ফলের জাত ৯টি রয়েছে। এছাড়াও মেলায় রয়েছে জাতীয় ফল কাঁঠালের একটি বিশেষ কর্নার।
মেলা রোজ সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
টিআর/ এআর