৫০ সিসিটিভির আওতায় মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার
প্রকাশিত : ০৪:১৮ পিএম, ২৫ জুন ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৫:১০ পিএম, ২৫ জুন ২০১৮ সোমবার
দীর্ঘ যানজট, সীমাহীন গতি আর নানাবিধ অপরাধ দমনে এবার রাজধানীর মগবাজার ও মৌচাক ফ্লাইওভারে বসানো হলো ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। ফ্লাইওভারের ওপরে এবং ফ্লাইওভারসংলগ্ন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ ক্যামেরাগুলো বসিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শিগগিরই এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র জানিয়েছে, ৯ কিলোমিটারের পুরো ফ্লাইওভারটি থাকবে সিসিটিভির নজরদারিতে। ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে ফুলবাড়িয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং আব্দুল গনি রোডের ‘সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’ থেকে। মনিটরে যানজট কিংবা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখলেই স্ব স্ব থানার পুলিশকে নির্দেশনা দেবেন তারা। এছাড়া সড়কে পুলিশ কর্মকর্তারা সময় মতো ডিউটি করছেন কিনা- তাও নজরদারি করা হবে এখান থেকে। ফ্লাইওভারের বাংলামোটরের ঢাল, মগবাজার চৌরাস্তা, মগবাজার ওয়্যারলেস, তেজগাঁও-সাতরাস্তা, মৌচাক ও মালিবাগ মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সচল করা হয়েছে সেগুলো।
চলতি বছরের ২৮ মে ফ্লাইওভারের মালিবাগের অংশ থেকে বস্তাবন্দি এক নারীর দুই হাত ও দুই পা উদ্ধার করে রমনা থানা পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, একটি গাড়ি ওই ব্যাগটি ফেলে চলে যায়। ওই ঘটনার ২৬ দিন হয়ে গেছে। কিন্তু ফ্লাইওভারে ক্যামেরা না থাকায় কোন গাড়ি থেকে ব্যাগটি ফেলা হয়েছিল তা এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ২০১৭ এর ডিসেম্বরে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। ছয় মাসেও বাসের নাম জানতে পারেনি পুলিশ।
ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে এ কার্যক্রম ট্রায়াল বেসিসে (পরীক্ষামূলকভাবে) চলছে। মূলত সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধী শনাক্তে ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছে। কেউ যদি কোনো অনিয়ম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে সহজে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। এছাড়া ডিউটি পোস্টের ট্রাফিক সদস্যরা সময় মতো কাজে যোগদান করছেন কিনা- সেটাও মনিটরিং সম্ভব হবে।
আরকে//