দৃষ্টি সবার গাজীপুরে
প্রকাশিত : ০৮:১২ এএম, ২৬ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:২৯ এএম, ২৬ জুন ২০১৮ মঙ্গলবার
গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। এই সিটির ১১ লাখের বেশি ভোটার আজ তাদের নতুন মেয়র নির্বাচনের জন্য ভোট দিচ্ছেন। ফলে নতুন মেয়র কে হচ্ছেন তা নিয়ে এক দিকে যেমন ব্যাপক কৌতূহল কাজ করছে, অন্য দিকে ভোটের ফল নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চলবে ভোট গ্রহণ। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণও শুরু হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলের মধ্যেই নির্বাচনসামগ্রী সব ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো সিটি করপোরেশন এলাকা। নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনী এলাকার সব অফিস, মিল-কারখানা, স্কুল কলেজসহ প্রতিষ্ঠানগুলোয় আজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ দিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধানের শীষ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে এবং বিনা কারণে তাদের গ্রেফতার করছে। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, একটি অসমতল মাঠে গাজীপুর সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান নির্বাচিত হন।
এদিকে কোনো নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১৬ হাজার সদস্য।
নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা এক মাসের বেশি সময় ধরে চলে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী গত রোববার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। তবে একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া যায়।
এসএ/