চার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাননি কোনও পাক শাসক
প্রকাশিত : ০২:৫০ পিএম, ২৭ জুন ২০১৮ বুধবার
পদচ্যুত হওয়ার পর দেশছাড়া হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। পাক নাগরিকত্বও হারিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার স্ত্রী ভেন্টিলেশনে। লন্ডনে সেই অসুস্থ স্ত্রীকে ছেড়ে তাকে ফিরতে হচ্ছে পাকিস্তানে।
দুর্নীতির মামলার জন্য দেশে ফিরতে হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে তার মেয়ে মরিয়ম। গত ১৪ জুন নওয়াজ শরিফ ও মরিয়ম শরিফ পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘কুলসুম ভেন্টিলেশনে। এই অবস্থায় কি আমার পাকিস্তানে যাওয়া সম্ভব? এই অবস্থায় স্ত্রীকে ছেড়ে কীভাবে পাকিস্তানে যাব?’ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এখন একথাই বলছেন।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছে। ২০১৭-র ২৮ জুলাই পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তার। সেই মামলায় হাজিরা দিতে পাকিস্তানে যেতে হচ্ছে তাকে।
বলা হয়, চারটি সি এর অভিশাপ থেকে কোনোদিনই বাঁচতে পারে না পাকিস্তানের কোনও শাসক। Coup (অভ্যুত্থান), Corruption (দুর্নীতি), Crime(অপরাধ), Country-hopping(দেশছাড়া হওয়া)।
অভ্যুত্থান
সেনা অভ্যুত্থানে প্রভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইসকান্দার মির্জা, প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এছাড়া অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হতে হয়েছিল লিয়াকত আলি খান, জিবাউল হক ও বেনজির ভুট্টোকেও। যদিও সেই অভ্যুত্থান সফল হয়নি।
দুর্নীতি
বিভিন্ন সময় পাকিস্তানের একাধিক শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতির। সেই তালিকায় রয়েছেন আসিফ আলি জারদারি, নওয়াজ শরিফ, ইউসুফ গিলানি এবং পারভেজ মুশারফের।
অপরাধ
আলতাফ হুসেন, আসিফ জারদারি, নওয়াজ শরিফ ও পারভেজ মুশারফকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। বেনজির ভুট্টোকে ২০০৭-এ খুন করা হয়।
দেশছাড়া হওয়া
এটাও পাক শাসকদের কাছে নতুন বিষয় নয়। ২০০২ থেকে ব্রিটেনে ছিলেন আলতাফ হুসেন, দুবাইতে ছিলেন আসিফ আলি জারদারি। পরে লন্ডন ও নিউ ইয়র্কেও থাকতে হয় তাকে। ২০০০ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সৌদি আরবে ছিলেন নওয়াজ শরিফ। ১৯৯৮ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত দুবাইতে ছিলেন বেনজির ভুট্টো। আর ২০০৮ থেকে লন্ডনে আছেন পারভেজ মুশারফ।
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭
একে//