আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিতদের দাপুটে জয়
প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ২৮ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:৪২ পিএম, ২৮ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার
দাপুটে জয় দিয়ে ইংল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি সেরেছে ভারত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শততম টি-টোয়েন্টিতে ৭৬ রানে জিতল ভারত। এত সহজ জয়ে ভারতীয় দলের কোনও পরীক্ষাই তো হল না। তবে আত্নবিশ্বাসটা বেড়েছে বহুগুণে।
রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের ওপেনিংয়ে উঠেছিল ১৬০ রান। যা এই ফরম্যাটে ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক জুটি। আয়ারল্যান্ড সেই রানই তুলতে পারল না। ‘রিস্ট স্পিন’ খেলতে না পেরে নয় উইকেটে ১৩২ রানে থামল তারা। শততম টি-টোয়েন্টিতে ৭৬ রানে জিতল ভারত। ‘চায়নাম্যান’ কুলদীপ যাদব নিলেন চার উইকেট। লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল নিলেন তিন উইকেট। দুই স্পিনার মিলে ৫৯ রানে নিলেন সাত উইকেট। দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতেই দিশেহারা দেখাল আয়ারল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের।
ছবির মতো সাজানো ডাবলিনে এই ম্যাচ নিয়ে প্রবল উন্মাদনা। ভারতীয় সমর্থকরা যথারীতি হাজির তেরঙা পতাকা নিয়ে। গাছ দিয়ে ঘেরা মাঠে শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার দুই ওপেনার। পাঁচ ওভারে উঠল পঞ্চাশ। একশো এল ১০.১ ওভারে। দেড়শো এল ১৫.১ ওভারে। যেভাবে রান উঠছিল, তাতে ২২০-২৩০ আসতেই পারত। কিন্তু, শেষের দিকে তেমন রান আসেনি। পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রানে থেমেছিল ইনিংস।
টস জিতে আয়ারল্যান্ড ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ভারতকে। দুই ওপেনারই জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। শুরুতে শিখর ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। ২৭ বলে পঞ্চাশ এল তাঁর। রোহিতের লাগল ৩৯ বল। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘গব্বর’ ৪৫ বলে ৭৪ করে থামলেন। যাতে থাকল পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছয়। তবে মুম্বইকর পরে গিয়ার বদলালেন। ৬১ বলে ৯৭ করে নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করে ফিরলেন শেষ ওভারে। ম্যাচের নায়ক রোহিতের ইনিংসে থাকল পাঁচটি ছয় ও আটটি চার। সুরেশ রায়না (১০), মহেন্দ্র সিং ধোনি (১১), হার্দিক পান্ডিয়া (অপরাজিত ৬), বিরাট কোহালি (০),মণীশ পাণ্ডে (অপরাজিত ০), পরে কেউই বিশেষ সুযোগ পাননি। আয়ারল্যান্ডের পিটার চেজ ৩৫ রানে নেন চার উইকেট।
২০৯ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জেমস শ্যানন ছাড়া আয়ারল্যান্ডের কোন ব্যাটসম্যান কুড়িও পার করতে পারেননি। তিনি পঞ্চাশ না পার করতে পারলে আয়োজক দেশের স্কোরবোর্ড আরও লজ্জাজনক দেখাত। কুলদীপ-চহাল ছাড়া বাকি দুই উইকেট নিলেন যশপ্রীত বুমরা।
তবে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেলও কোহালিকে ভাবাবে ফিল্ডিং। সহজ ক্যাচ পড়ল একগাদা। যা মোটেই ভালো লক্ষণ নন। প্রশ্ন থাকবেই, এই দলের ‘ইয়ো-ইয়ো’ ফিটনেস টেস্টে জোর দেওয়ার আগে ক্রিকেটীয় স্কিলে জোর দেওয়া বেশি জরুরি নয় তো!
এমজে/