ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চাচা-চাচীরা বলেছিল কালো হয়ে যাবি, কেউ বিয়ে করবে না: সানিয়া মির্জা

প্রকাশিত : ০৫:০৯ পিএম, ২৮ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার

সানিয়া জানিয়েছেন, `আমার বাবাই আমার সবচেয়ে বড়ো হিরো, তিনি সব ঝড়ের সম্মুখীনতা করেছিলেন।তারা আমার বাবাকে নিয়েও উপহাস করত...`
ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। খেলোয়ার হয়ে উঠার গল্প সম্প্রতি শেয়ার করেছেন এই সুদর্শনী। জানালেন যখন তিনি টেনিস খেলা শুরু করেছিলেন তখন লোকেরা তাঁকে নিয়ে উপহাস করত। এমনকি চাচা চাচীরাও নিরুৎসাহিত করে বলতেন, খেলাধুলা করলে কালো হয়ে যাবি, কেউ বিয়ে করবে না।
এসব শুনেও খেলায় মন দেন সানিয়া। হয়ে উঠেন কিংবদন্তী। সানিয়ার ভাষ্য,`আমি ছয় বছর বয়স থেকে টেনিস খেলতে শুরু করেছি, সেই সময় হায়দ্রাবাদে কোনো মেয়ে টেনিস খেলছে, এমন ঘটনাকে সাধারণ ভাবে নেওয়া হোত না।আমার বাবা ক্রিকেট খেলতেন, সেই সুবাদে আমি ক্রিকেট খেলোয়াড়ের পরিবারের মেয়ে।`
সংযুক্ত রাষ্ট্রের মহিলা গান `মুঝে হক হ্যা` -এর উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ছয়টি গ্রান্ড স্ল্যাম পুরস্কার বিজয়ী এই খেলোয়াড় বলেন, `আমার বাবা-মা যখন বলেছিলেন, ও (সানিয়া) টেনিস খেলতে যাচ্ছে তখন আমার চাচা-চাচী বলেছিলেন ``কালো হয়ে যাবি, কেউ বিয়ে করবে না।`
বাবাই সানিয়ার জীবনের বড় হিরো। যেমনটি বলছিলেন, `আমার বাবাই আমার সবচেয়ে বড়ো হিরো, তিনি সব ঝড় সামলে আমাকে আগলে রেখেছিলেন। তারা আমার বাবাকে নিয়েও উপহাস করত, বলত, ` কি ভাবছো, তোমার মেয়ে মার্টিনা হিঙ্গিস হবে?` অথচ হিঙ্গিসকেই পরবর্তীতে তিন তিন বার পরাজিত করেছেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের এই জীবন সঙ্গী।
অনুষ্ঠানে সানিয়া টেনিসে পুরস্কার স্বরূপ প্রাপ্ত ধনরাশির পরিমান যাতে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য সমান হয় সেই বিষয়েও কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ``আজ সমান পুরস্কারের জন্য আমাদের লড়াই করতে হয়, একজন টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে কেন পুরুষদের সমান ধনরাশি মেয়েদের পাওয়া উচিত, তার জন্য আমাদের কারণ জানাতে হয়।এর মানে আজও আমার সমান নই, পৃথিবীর সর্বত্রই তা প্রযোজ্য।শুধুমাত্র ভারতেই নয়।`
সূত্র : এনডিটিভি।
/ এআর /