ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কোটার খাদে বিসিএস: হতাশায় চাকরিপ্রার্থীরা

প্রকাশিত : ০৭:২১ পিএম, ২৮ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৩৫ পিএম, ২৮ জুন ২০১৮ বৃহস্পতিবার

প্রতিবছর জুন মাসের মধ্যে দেওয়া হয় বিসিএসের সার্কুলার। এবার জুন মাস প্রাই পেরিয়ে গেলেও বিসিএসের কোন সার্কুলার আসেনি। যা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বাড়াচ্ছে হতাশা। কেননা হাজার হাজার প্রার্থীর বয়স চলে গেলে ক্যাডার সার্ভিসে চাকরির স্বপ্ন তাদের অধরাই রয়ে যাওয়ার শঙ্কা।

তবে চাকরিপ্রত্যাশিদের এ শঙ্কা কমাতে সরকারি কর্মকমিশনে (পিএসসি) প্রায় দেড় মাস আগে ৪০তম বিসিএসের চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোটা ব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় সংস্থাটি সার্কুলার দিতে পারছে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিসিএস প্রার্থী একজন শিক্ষার্থী বলেন, জুনের মধ্যে সাধারণ বিসিএসের সার্কুলার দেয়া হয়। ৩৬তম বিসিএসের সার্কুলার দেয়া হয়েছিল ২০১৫ সালের ৩১ মে। ৩৭তম বিসিএসের সার্কুলার দেয়া হয় ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। ৩৮তম বিসিএসের সার্কুলার দেয়া হয় গত বছরের ২০ জুন। ৩৯তম বিশেষ বিসিএস হওয়ায় এর হিসাব আলাদা হয়। এটির সার্কুলার দেয়া হয় ৮ এপ্রিল। অবশ্য ৩৫তম বিসিএসের সার্কুলার দিতে দেরি হয়েছিল। ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সেই সার্কুলার জারি হয়। ওই প্রার্থী বলেন, পিএসসির বর্তমান প্রশাসন বেকারবান্ধব। কিন্তু সার্কুলার জারিতে দেরি করায় আমরা হতাশ।

নাম প্রকাশ না করে পিএসসির শীর্ষপর্যায়ের দুই কর্মকর্তা বলেন, কোটার বিষয়টি নিষ্পত্তি ছাড়া বিসিএসের নতুন সার্কুলার দিলে দুই ধরনের সমস্যা হতে পারে। একটি হচ্ছে- সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা ফের আন্দোলনে নামতে পারে। অপরটি কোন নীতির আলোকে প্রার্থী সুপারিশ করা হবে, সেটা সার্কুলার জারির সময়েই নির্ধারণ করতে হয়। বর্তমানে যে ৪টি বিসিএসের কাজ চলছে, সেগুলো কোটা সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া। তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর কোনো বিসিএসের সার্কুলার দিতে হলে আগেভাগেই কোটা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া দরকার। এজন্যই পিএসসি প্রজ্ঞাপনের জন্য অপেক্ষা করছে। পিএসসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, তাদেরও ইচ্ছা দ্রুতই ৪০তম বিসিএসের সার্কুলার দেয়া। শুধু কোটা ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনের জন্য অপেক্ষার কারণে বিলম্ব হচ্ছে।

তবে সার্কুলার বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, আমরা প্রতিবছরই একটি নতুন বিসিএসের সার্কুলার দেয়ার চেষ্টা করি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেও সে অনুযায়ী চাহিদাপত্র দেয়া হয়। ৪০তম বিসিএসের চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে। কিন্তু আরও কিছু তথ্য-উপাত্ত দরকার। সেগুলো চাওয়া হয়েছে। ওইসব তথ্য পাওয়া মাত্র সার্কুলার জারি করা হবে। তবে কোটা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের জন্য সার্কুলার আটকে নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেড় মাস আগে পাঠানো ৪০তম বিসিএসের চাহিদাপত্রে দুই হাজারের বেশি পদে নিয়োগের কথা আছে। চাহিদাপত্রে (৪০তম বিসিএসের) প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদ ২২৮টি, পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার ৭০টি, পররাষ্ট্র ক্যাডারে সহকারী সচিব ২৫টি, আনসার ক্যাডারে ১২, মৎস্য ক্যাডারে ৩৪৪, নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারে সহকারী মহা-হিসাবরক্ষক ১৫, শিক্ষা ক্যাডারে বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাষক পদে প্রায় ১ হাজার।  


আরকে//