মানবপাচারের শীর্ষে মিয়ানমার: যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত : ১০:৪৭ এএম, ২৯ জুন ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০৪ পিএম, ২৯ জুন ২০১৮ শুক্রবার
মিয়ানমারকে বিশ্বে মানবপাচারের শীর্ষ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ‘ট্র্যাফিকিং ইন পারসনস’ এর এক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে আসে। মিয়ানমার ছাড়াও সিরিয়া, চীন ও দক্ষিণ সুদানেও প্রচুর মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকটের কারণেই মিয়ানমারে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এই প্রতিবেদনে দেশগুলোকে তিনটি ধাপে ভাগ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা দেশগুলোকে রাখা হয় টায়ার-১ এ। আর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা দেশগুলোর তালিকাকে বলা হয় টায়ার-৩। এই তালিকাতেই রয়েছে মিয়ানমার। এর আগে সেখানে ছিল চীন, সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদান।
মিয়ানমার থেকে পাচার হওয়ার বেশিরভাগই নিপীড়নের শিকার। অনেককে যৌনকর্মী হিসেবেই পাচার করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, শরণার্থীদের জোরপূর্বক কাজ করানো ও মাইন নিয়ে কাজ করতেও বাধ্য করা হচ্ছে। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা নারীরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতে তাদের জোরকরে যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। ইন্টারনেটেই তাদের বিক্রি করে দেওয়া হয় অনেকসময়। ভারত টায়ার-২ তালিকায় আছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্তণালয়ের মতে, টিআইপি প্রতিবেদনই মানবপাচারবিরোধী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিবেদন। টায়ার-২ পর্যবেক্ষণ তালিকায় ২ বছর থাকলে এমনিতেই দেশটি টায়ার-৩ তে নেমে যায়। টায়ার-৩ তে থাকা দেশগুলোর ওপর অবাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার এখতিয়ার রাখে যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশি সহায়তাও বন্ধ করতে পারে তারা। তবে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
এমজে/