তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক আজ
প্রকাশিত : ১২:০২ পিএম, ৩০ জুন ২০১৮ শনিবার
প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত তৃণমূল নেতাকর্মীই বাঁচিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগকে। দলের দু:সময়ে তৃণমূলই আগলে রেখেছে দলটিকে। তাই তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য শুনবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের মাধ্যমেই পাঠাবেন রাজনৈতিক নির্দেশনা।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার বেলা ১১ টায় গণভবনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রথম পর্যায়ের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে বক্তব্য রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যে গণভবনে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশালের তৃণমূল নেতারা ভিড় জমিয়েছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের নানা অভিযোগ, সমস্যার কথাও শুনবেন।
আগামী নির্বাচনকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ড নেতাদের একটা বিরাট ভূমিকা থাকে। গ্রামের মানুষ কাকে ভোট দেবে, কেন দেবে- এ বিষয়ে এসব নেতারা দায়িত্বও পালন করেন। সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ নির্দেশনা সরাসরি পৌঁছে দিতে এবার গণভবনে তাদের ডাকা হয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের।
জানা গেছে নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে এক বিশেষ বর্ধিত সভা বেলা ১১টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে জানান, আওয়ামী লীগের এই বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দলীয় ইউপি সদস্যরাও বিশেষ বর্ধিত সভায় উপস্থিত থাকবেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যেহেতু আগামী ডিসেম্বর নাগাদ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেহেতু দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেবেন। অন্য প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে যদি কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হয় তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো নির্দেশনা আসতে পারে।
আআ / এআর