ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

হামলায় রক্তাক্ত কোটা আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক ঢামেকে (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ৩০ জুন ২০১৮ শনিবার | আপডেট: ০৬:২৩ পিএম, ৩০ জুন ২০১৮ শনিবার

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরকে মারধর করা হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আন্দোলনকারীদের পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। গুরুত্বর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোটা বাতিল বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রায় তিন মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারির কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতির জন্য শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। তবে বেলা ১১ টায় সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর এই হামলার শিকার হন।

নূরকে মারধরের পর তাকে প্রায় ৩০ মিনিট লাইব্রেরিতে রাখা হয়। পরে লাইব্রেরির পেছনের দরজা দিয়ে লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ নূরকে আহত অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িতে তুলে দেয়। তাকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্যে বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে আমরা গ্রন্থাগারের সামনে আসি। আমরা দাঁড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আহতদের মধ্যে যুগ্ম আহ্বায়ক নূরের অবস্থা গুরুতর।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ বিষয় বলেন, আহত নুরুল হক নুরু (২৫), আবদুল্লাহ (২৩), আতাউল্লাহ (২৪), মাহফুজ (২৫), শাহেদ (২৫), হায়দারকে (২৩) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

তবে ছাত্রলীগর এ হামলায় দায় অস্বীকার করেছে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, ছাত্রলীগ কোনো হামলা চালায়নি। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। আমরা শুনেছি আন্দোলনকারীদের দুই গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের দফায় দফায় আন্দোলন শেষে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে ‘কোটাই থাকবে না’ বলে ঘোষণা দেন। এই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। সংগঠনটির নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও কোটা সংস্কারের কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়। আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল।

/ এআর /