সারাদেশই পলিথিন দূষণের শিকার (ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ৩০ জুন ২০১৮ শনিবার
প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশই এখন পলিথিন দূষণের শিকার। আইন করে পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হলেও থেমে নেই উৎপাদন। নেই আইনের বাস্তবায়নও। এদিকে, পরিবেশবান্ধর পাটের পলিথিন উদ্ভাবনের দুই বছর পেরোলেও বাজারে নেই। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, শিগগিরই বাজারে আসবে পরিবেশবান্ধব পলিব্যাগ।
দূষণ বিবেচনায় পলিথিন নিষিদ্ধ করে সরকার।
আইন লংঘনজনিত অপরাধে কারাদ-, অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডেরই বিধান আছে। আইন থাকলেও দিনে দিনে বাড়ছে পলিথিনের ব্যবহার। পরিসংখ্যান বলছে-১৯৯০ সালে প্লাস্টিকের ব্যবহার ছিলো ১৫ হাজার মেট্রিক টন, পাঁচ বছর পর পরিমাণ দাঁড়ায় সাড়ে সাত লাখ মেট্রিক টনে। বর্তমানে ৫ হাজার কারখানায় ১২ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন হচ্ছে।
নগর জীবনে অহরহই পলিথিনের ব্যবহার। যেনো পলিথিন ছাড়া চলেই না। আর এই পলিথিনই বিষিয়ে তুলছে পরিবেশ-প্রতিবেশ। পচনশীল নয় বলেই কমাচ্ছে মাটির উর্ব্বরতা। নগরে সৃষ্টি করছে জলাবদ্ধতা।
নিষিদ্ধ থাকলেও রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরেসহ পুরোনো ঢাকার বহু কারখানায় প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে লাখ লাখ টন টন পলিথিন। কাজে লাগানো হচ্ছে শিশুদেরও।
বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান উদ্ভাবিত পাটের পলিথিন রাজধানীর অদূরে ডেমরায় পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনও হচ্ছে। প্রতিদিন তৈরি হয় ৩ থেকে ৫ হাজার ব্যাগ।
পরিবেশবিদরা বলছেন, প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাবে জনস্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য চরম ক্ষতির মুখে।
পাটের সোনালী ব্যাগ বাজারে আসছে না কেন? প্রশ্নটি ছিলো পরিবেশ অধিদপ্তর ও পাট কল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের কাছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, পলিথিনের ব্যবহার মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
প্লাস্টিক পণ্যসহ পলিথিন ব্যবহার না করারই পরমর্শ দিলেন এই চিকিৎসক।