অভিভাবকদের সঙ্গেই শরণার্থী শিশুদের বন্দী রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ৩০ জুন ২০১৮ শনিবার
অভিবাসনের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আসা শরণার্থী শিশুদেরকে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গেই বন্দী রাখা হবে। এমনটাই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার।
শুক্রবার দেশটির একটি আদালতে সরকারের পক্ষ থেকে এমনটাই বলা হয়। অভিবাসন ইস্যুতে চলমান এক মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করা হয়। এসময় বলা হয় যে, অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় যারা আটক হবেন তাদের মধ্যে থাকা শিশুদেরকে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গেই বন্দী রাখা হবে। আর যতদিন পর্যন্ত তাদের এই অভিবাসন বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসবে তত দিন তাদেরকে এভাবে বন্দী রাখা হবে।
১৯৯৭ সালে আসা আদালতের এক রায় অনুযায়ী, অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে আসা শিশুদেরকে ২০ দিন পর মুক্ত করে দিতে হবে। ‘ফ্লোরস চুক্তি’ নামক ওই রায়ে এই কাজটি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বিধান মানা যাবে না বলে ক্যালিফোর্নিয়ার জেলা আদালতকে জানান যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের আইনজীবীরা। তাদের যুক্তি এই যে, অভিবাসনবিষয়ক পৃথক মামলায় গত মঙ্গলবার এক অন্তবর্তী আদেশের কারণে শরণার্থীদের সঙ্গেই তাদের শিশুদেরকে বন্দী রাখতে হবে।
সম্প্রতি অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওপর মার্কিন প্রশাসনের কট্টর নীতি আরোপের বিরোধিতা করে আদালতে ওই মামলাটি করে সান দিয়েগো’র আমেরিকান সিভিল সিবারটিজ ইউনিয়ন। গত মে মাসে ওই নীতি আরোপের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকান সীমান্তে থাকা শরণার্থীদের থেকে তাদের সন্তানদের আলাদা রাখা হয়। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার শিশুকে তাদের অভিভাবকদের থেকে আলাদা রাখা হয়েছে।
তবে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে তার কঠোর নীতি থেকে সরে আসে। অভিভাবকদের থেকে শিশুদের আলাদা রাখার নীতি থেকে সরে আসে মার্কিন প্রশাসন। পাশাপাশি গত মঙ্গলবার দেশটির একটি আদালত এক রায়ে সরকারকে ৩০ দিন বা তার থেকে কম সময়ে শিশুদেরকে অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে আদেশ দেয়।
গতকাল শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার ওই আদালতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে, যেহেতু শিশুদেরকে অভিভাবকদের সঙ্গেই রাখতে হবে তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শিশুদেরকে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে জেলেই বন্দী রাখা হবে। যতদিন এই সমস্যার সমাধান না হবে ততদিনই তারা জেলে বন্দী থাকবে বলে আদালতকে জানায় সরকারপক্ষের আইনজীবীরা।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স।
//এসএইচএস// এসএইচ/