নিরাপত্তা ভয়ে খালি থাকছে রাখাইন ট্রানজিট ক্যাম্প
প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ১ জুলাই ২০১৮ রবিবার
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাখাইনে প্রস্তুত করা হয়েছে ট্রানজিট ক্যাম্প। মিয়ানমার-বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে মিয়ানমারের। কিন্তু বাস্তবতায় সে প্রতিশ্রুতি পালন হচ্ছে না। ফলে ক্যাম্পে মিয়ানমারের অভিবাসন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের দেখা পাওয়া গেলেও রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি একেবারেই শূণ্য।
বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী দিনে ১৫০ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করার কথা ছিল মিয়ানমারের। এজন্য ট্রানজিট ক্যাম্পও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এএফপির এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সময়ই খালি পড়ে থাকে ক্যাম্পগুলো। মিয়ানমারের অভিবাসন কর্মকর্তারা কাগজপত্র নিয়ে এই ট্রানজিট ক্যাম্পে অপেক্ষা করেন। প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করেন সাংবাদিকরা। কিন্তু যে রোহিঙ্গাদের জন্য ক্যাম্প করা হলো, সেই রোহিঙ্গাদের সেখানে দেখা যায় না।
মিয়ানমারের অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তা উইন খাইং বলেন, জানুয়ারি থেকেই আমরা তাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। তবে এএফপি জানিয়েছে, রোহিঙ্গারাও নিরাপত্তার অভাবে মিয়ানমারে ফিরতে রাজি হচ্ছেন না। মিয়ানমারও নিরাপত্তা নিশ্চিতের শক্তিশালী কোনও আশ্বাস দিতে পারছে না। তাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এলেও মাত্র ২০০ জনের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়েছে। এরপরও মিয়ানমার বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে অনেক রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা জানায়, মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে পালানোর চেষ্টা করা রোহিঙ্গাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদেরকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এক করতে নারাজ বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গা নারীরা জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ধর্ষণ চালায়। তারা চোখের সামনে দেখতে পান ভয়াবহ নিধনযজ্ঞ। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করে।
আরকে//