রাবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা
প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ১ জুলাই ২০১৮ রবিবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোটা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ এই হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দফায় দফায় এই হামলা হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ তারা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অংশ নেওয়ার জন্য একসঙ্গে জড়ো হলে কয়েকজনকে চড়-থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগ এই হামলা চালিয়েছে।
ছাত্রলীগ বলছে, ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থী ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে দুই শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়।
এরপর তাদের ধাওয়া দিলে কয়েকজন গ্রন্থাগারের ভেতরে ঢুকে যায়। কয়েকজনকে গ্রন্থাগার চত্বর দিয়ে ধাওয়া দিয়ে চড়-থাপ্পড় মারা হয়।
পরে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ব্যানার নিয়ে চলে যায়। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিবহন মার্কেট দিয়ে শোডাউনের পর আবারও গ্রন্থাগারের সামনে এসে অবস্থান নেয়। সেখানে ১৫ মিনিট অবস্থানের পর নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে শোডাউন করে।
পরে আন্দোলনকারীরা আবার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধনের জন্য সংগঠিত হলে তাদের ফের ধাওয়া দেওয়া হয়। এ সময় ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করেও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন রাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা প্রায় দেড়শ’জন মানববন্ধনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে আমাদের ধাওয়া করা হয়। এ সময় আমাদের পাঁচ-ছয়জন আন্দোলনকারীকে মারধর করা হয়।’
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা ক্যাম্পাসে শোডাউন করেছি।
তিনি আরও বলেন, যারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখে না, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোটা সংস্কারের নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রাবি`র প্রক্টর ড. লুৎফর রহমান বলেন, `কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ দুই পক্ষের সঙ্গেই আমরা কথা বলার চেষ্টা করছি। ক্যাম্পাসে যেন কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টিআর/ এআর