ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ বাড়াবে জাতিসংঘ: গুতেরেস

প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ১ জুলাই ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ০৮:২৫ পিএম, ১ জুলাই ২০১৮ রবিবার

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ মিয়ানমারের ওপর চাপ আরও বাড়াবে। রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠককালে তিনি একথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছি… রোহিঙ্গা ইস্যুতে কী করা উচিৎ সেটা যাতে মিয়ানমার বুঝতে পারে সেজন্য তাদের ওপর আমাদের চাপ বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমও ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা বাংলাদেশকে তাদের দেওয়া সহায়তা অব্যাহত রাখবেন।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান, এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।

এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে বিশ্বব্যাংক এগিয়ে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টকে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার পাশাপাশি রোহিঙ্গারা যে ১৯৭৭ সাল থেকেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে সেটাও উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কেবলমাত্র মানবিক দিক বিবেচনা করেই বাংলাদেশ প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি জানান, প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের জন্য একটি দ্বীপ প্রস্তুত করা হচ্ছে, যেখানে তারা উন্নত জীবনমান ও জীবিকার সুযোগ পাবে।

১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের সমস্যাও আমাদের দেখতে হবে এবং আমরা সেটা করছি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উভয় দেশই সমঝোতায় সই করেছে। তবে এর বাস্তবায়নে তারা (মিয়ানমার) এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এসএইচ/