শহীদ মিনারে কোটা আন্দোলনকারীদের কালো পতাকা মিছিলে হামলা
প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ২ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:৪৯ পিএম, ২ জুলাই ২০১৮ সোমবার
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা এবং নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজকের কর্মসূচিতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পূর্বঘোষিত কালো পতাকা মিছিল বের করে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। এসময় মিছিলে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছাত্রলীগ এ হামলা চালায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আজ সোমবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করার জন্য শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছিল কোটা আন্দোলনকারীরা। এসময় কিছু সংখ্যক যুবক মোটরসাইকেলে এসে সেখানে হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় কোটা আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক খানকে মারধর করে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়।
ফারুক খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি-না জানতে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসানের মুঠোফোনে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেন নি।
হামলাকারীরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বেশ কিছু কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে কোটা আন্দোলনকারীদের মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান সানি।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ শুরু করার আগে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগ নেতা মোটরসাইকেলে করে শহীদ মিনারে আসেন। তারা এসে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে মারধর করে এবং মোটরসাইকেল দিয়ে তুলে নিয়ে যায়।
আন্দোলনকারী লুৎফুন্নাহার লিনা এবং লুবনা কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ভাইদের গায়ে হাত তুলেছে, মারধর করেছে। আমাদের গায়েও হাত দিয়েছে। তারপরও কেউ তাদেরকে ঠেকাতে আসে নাই। দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, আমরাও নারী। আমাদের এ ধরনের হুমকি, গায়ে হাত তোলা প্রধানমন্ত্রীর সম্মানকেও ক্ষুণ্ণ করে।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এর আগে গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা জড়ো হলে সেখানে হামলা চালানো হয়। কোটা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে। এতে পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর গুরুত্বর আহত হন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। যদিও ছাত্রলীগ হামলায় দায় স্বীকার করে নি।
টিআর/ এআর