মধ্যরাতে হাসপাতাল থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত : ০১:৪৪ পিএম, ২ জুলাই ২০১৮ সোমবার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় গুরুত্বর আহত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নূরকে মধ্যরাতে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নুরুল হক নূর কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। পরিষদের অভিযোগ, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুত্বর আহত নূরকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। রোববার মধ্যরাত ১ টার পর ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বের করে দেয়।
নুরুল হক নূরের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে সংগঠনের আহবায়ক একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, হঠাৎ করে মধ্যরাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। তাঁর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আমরা জানি না। খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, আমার কেন তাকে বের করে দেবো? সে (নূর) নিজেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। এমন কি যাওয়া সময় বকেয়া বিলও শোধ করেনি। মনিরুজ্জামান বলেন, রাত ২ টার দিকে সে চলে যেছে। আমি তখন বাসায় ছিলাম। পরে হাসপাতালে এসে জানতে পারি সে পালিয়েছে।
গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার পর প্রথমে নূরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নেওয়া হয় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে।
তখন হাসান আল মামুন জানিয়েছিলেন, নূরের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি বেশ কয়েকবার রক্তবমি করেছেন। মারধরে নূর মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার সারা শরীরেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হাসান আল মামুন জানান, এরইমধ্যে নূরের সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। এখনও রিপোর্ট হাতে আসেনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর তার অবস্থা জানা যাবে।
নূরের চিকিৎসার ব্যাপারে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরও বলেন, তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর পর তাকে কোথায় ভর্তি করা হয়েছে তা জানি না। তবে তার চিকিৎসার ব্যাপারে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত বলে জানান ঢাবি প্রক্টর।
টিআর/ এআর