মনে হয়েছে মাঠে নয়, সিনেমায় এসেছি
প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ২ জুলাই ২০১৮ সোমবার
কিছু না পেয়েই আরও একটা বিশ্বকাপ শেষ আর্জেন্টিনার। খারাপ লাগছে। আরও একবার আমরা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলাম না। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফরমেশন দেখেই অবশ্য এমন কিছুর সংশয় জেগেছিল। আক্রমণের জন্য সামনে রাখা হলো ক্রিশ্চিয়ান প্যাভন, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া আর মেসিকে। ওরা যে ডি বক্সে বা পেনাল্টি স্পটে আক্রমণ আর সেন্টার ব্যাকদের ফাঁকি দিয়ে ফরোয়ার্ডদের সামনে এগিয়ে দেওয়ার কাজটা খুব ভালো জানে, তা কিন্তু নয়। হ্যাঁ, তারা সুযোগ তৈরি করতে পারে। কিন্তু তারা কেউই স্ট্রাইকার না।
আমার মনে হয়েছে মাঠে নয়, সিনেমায় এসেছি; মৃত্যুর কথা যেখানে আগেভাগেই লিখে রাখা। শেষ পর্যন্ত ঘটেছেও তাই। ফ্রান্স মেসিকে আটকেছে; আর্জেন্টিনার মাঝমাঠকেও আটকেছে যেন ভেতরে ঢুকতে না পারে। মেসি ছাড়া আমরা আসলে অন্য সাধারণ দলগুলোর মতোই। যেভাবে ধারণা করা হয়েছিল, সেভাবেই এগিয়েছে ম্যাচটা। অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটেনি। আর্জেন্টিনা আক্রমণে উঠেছে অসতর্কভাবে। আক্রমণে গিয়ে ভুল করেছে, তার ফাঁকে প্রচুর জায়গা পেয়ে গেছে এমবাপ্পে। প্রথম যে গোলটা আমরা হজম করলাম, সেটা সম্পূর্ণই (মার্কো) রোহোর ভুলে। এমবাপ্পেকে সে বক্সের বাইরেই ফাউল করতে পারত। কিন্তু সে তাকে ভেতরে ঢুকতে দিয়েছে। তারপর ফেলে দিয়েছে। কোনো আন্তর্জাতিক মানের ফুটবলার এরকম করতে পারে না।
আর্জেন্টিনার কাছে বল ছিল ঠিকই; কিন্তু খেলা দেখে মনে হচ্ছিল তারা আক্রমণ করতে জানে না। কী করতে হবে, তাও জানে না। উল্টোদিকে ফ্রান্সকে দেখুন। সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম। কাউন্টার অ্যাটাকে উঠেছে। ডান পাশ দিয়ে ঢুকেছে...। আমার মনে হয়েছে, ফ্রান্সের কাজটা আর্জেন্টিনা কখনোই পারেনি। প্যাভন যে ক্রসগুলো বাড়িয়েছে, ওদের রক্ষণে তার কোনো প্রভাবই পড়েনি।
আর মেসির কথা বলবেন? আমার তো ওকে নিঃসঙ্গ মনে হয়েছে। বক্স থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি আগেই বলেছি, ওকে যদি ফলস নাইনে খেলানো হয়, তাহলে ওকে বলের কাছে থাকতে হবে। তাহলে সবাই একসঙ্গে উঠে গিয়ে সুযোগ তৈরি করা যাবে। এরপর গোলের চেষ্টা। কিন্তু ব্যাপারটা এমন দাঁড়াল যে, মেসিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো নয়, আমরা যেন কাল্পনিক কথাই বেশি বলেছি।
আরকে//