ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসবে জর্ডান

প্রকাশিত : ০৫:০৪ পিএম, ২ জুলাই ২০১৮ সোমবার

সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসবে জর্ডান। সিরিয়ার দক্ষিণ অংশের ডেরা প্রদেশে চলমান যুদ্ধের বিষয়ে রাশিয়ার সাথে কথা বলতে চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসতে পারে জর্ডান।

রাশিয়ার সাথে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আয়মান সাফাদি আজ সোমবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান যে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভের সাথে মস্কোতে এই সপ্তাহের শেষ দিকে এই দ্বিপক্ষীয় সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে জর্ডান সীমান্তবর্তী সিরিয়ার ডেরা প্রদেশের সামগ্রিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান আয়মান।

ডেরা অঞ্চলে চলমান সহিংসতায় মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষের শরণার্থী হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। আর এমনটা হলে তার প্রভাব পরবে জর্ডানের ওপর। সে কারণেই বেশ উদ্বিগ্ন জর্ডান রাশিয়ার সাথে বৈঠকে বসতে চাচ্ছে।

গতকাল রবিবার ডেরার গুরুত্বপূর্ণ শহর বসরা আল শ্যাম-এ সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের একটি বড় অংশ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। আর এই আত্মসমর্পণে বিদ্রোহী এবং সরকারপন্থী বাহিনীর মধ্যে মধ্যস্থতা করে জর্ডান। তবে ডেরা, কুইন্টেরা এবং সুইডার বেশকিছু অঞ্চল এখনও বিদ্রোহীদের দখলে আছে। আর তারই নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে সরকারপন্থী বাহিনী। যে কারণে গত ১৯ জুন থেকে এসব অঞ্চলে নতুন মাত্রায় অভিযান শুরু করে বাশার ও রাশিয়া সমর্থিত বাহিনী।

এদিকে নতুন করে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় আত্মরক্ষার্থে জর্ডান সীমান্তে আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ সিরিয়াবাসী। কিন্তু জর্ডান তাদেরকে অনুপ্রবেশের অনুমতি দেয়নি। ফলে সীমান্তে মানবাধিকার দুর্যোগের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এন্ডার্স পেডার্সনের সাথে বৈঠক করেছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি।

জর্ডান বলছে, নতুন এসব শরণার্থীদের জায়গা দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই দেশটির। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, “জর্ডান ইতোমধ্যে প্রায় ১৩ লক্ষ সিরিয়ানকে আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের দেশ তার সামর্থ্যের শেষ সীমায় পৌছেছে। জর্ডান তার নিজের কাঁধে অনেক দায়িত্ব নিয়েছে। আর তা একাই নিয়েছে”।

নরওয়েজিয়ান রিজিউজি কাউন্সিলের মুখপাত্র কার্ল স্কিমব্রি জানিয়েছেন যে, জর্ডান যদি তাদের সীমান্ত খুলে দেয় শরণার্থীদের মানবিক ত্রাণ ও সাহায্য দিতে তারা প্রস্তুত আছে। আল জাজিরাকে তিনি বলেন, “আমরা জানি জর্ডান কর্তৃপক্ষের কাছে মৌলিক কিছু জিনিস যেমন পানি, খাবার এমনকি আশ্রয়ের ব্যবস্থাও নেই। তবে আমরা সাহায্য করতে পারব”।

সূ্ত্রঃ আল জাজিরা

//এস এইচ এস/ এআর