হাজার চেষ্টা করেও নেশা ছাড়তে পারছি না: রণবীর
প্রকাশিত : ০৫:২৫ পিএম, ২ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ১১:০১ পিএম, ২ জুলাই ২০১৮ সোমবার
মুক্তি পেয়েছে ‘সঞ্জু’৷ ছবির মুক্তির পর থেকেই রণবীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিনেমহল থেকে দর্শককূল৷ রণবীর কাপুরের গুণগানে একজোট হয়েছে গোটা সিনেদুনিয়া৷ নায়কের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন খোদ সঞ্জয় দত্তও৷ রণবীরের অভিনয়ের ঝলকে দর্শক তাঁর সঙ্গে সঞ্জয় দত্তের অবিকল মিল পেয়েছেন৷ অভিনেতার চেহারাতেও সঞ্জয়ের ছোঁয়া পেয়েছেন সিনেপ্রেমীরা৷ অনস্ক্রিনে মিল পেতে পেতে অফস্ক্রিনেও সাদৃশ্য পাওয়া গেল তাঁদের চরিত্রে৷ সঞ্জয়ের ড্রাগ অ্যাডিকশনের সম্বন্ধে সকলেই জানেন৷ কিন্তু সিনে সঞ্জুও এক সময় ড্রাগ অ্যাডিক্ট ছিলেন৷ কলেজে পড়াকালীন ড্রাগস নিয়েছিলেন তিনি৷
সম্প্রতি নিজের ড্রাগ অ্যাডিকশনের কথা প্রকাশ্যে এনে তিনি জানান, “আমি কলেজের সময় ড্রাগস নিয়েছিলাম৷ খারাপ সঙ্গতে পড়ে গিয়েছিলাম সেই সময়৷ কিন্তু পরে আমি বুঝতে পারি যে এসব করে কোনও লাভ নেই৷ উল্টো ক্ষতিই হবে৷ তারপরই ড্রাগস ছেড়ে দিই৷”
তিনি আরও জানান, “এই ছবিটা বাচ্চাদের এবং নতুন প্রজন্মের কাছে খুব শিক্ষনীয়৷ সকলের বোঝা উচিত যে পাঁচ মিনিটের মজা তোমার জীবন নষ্ট করে দিতে পারে৷ এর থেকে খারাপ আর কিছু হয় না৷ সঞ্জয় দত্ত অনেক বেশি স্ট্রং৷ ওঁ লড়াই করে সবকিছু থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে৷ আর তারকা হয়ে উঠেছে৷ আর প্রত্যেক মানুষেরই জীবনে কোনও না কোন ভুল হয়ে থাকে৷ আমি যেমন নিকোটিনে অ্যডিক্টেড, যেটা ড্রাগসের থেকেও খারাপ৷ কিন্তু আমার একটা ভালো নেশাও আছে৷ মিষ্টির নেশা৷”
কিন্তু অনেকেই জানেন না যে রণবীর এখনও নিকোটিন অ্যাডিক্ট৷ মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকে নিকোটিন অ্যাডিক্ট ছিলেন রণবীর কাপুর৷ যে নেশা হাজার চেষ্টা করেও ছাড়তে পারছিলেন না তিনি৷ সুদূর অস্ট্রিয়া উড়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্য৷ তবে সমালোচনা করার বদলে নিজের নিকোটিন অবসেশনের কথা জনসমক্ষে শেয়ার করার জন্য তার সাহসের বাহবা দিচ্ছেন সকলে৷
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, “চার মাস হল আমি স্মোকিং ছেড়েছি৷ তবে ছেড়েছি বললে ভুল হবে৷ শেষ মাসেই এক-দুবার করে ফেলেছিলাম স্মোক৷ আসলে আমার এই বিষয়টা নিয়ে একটা ভয় কাজ করে কারণ ১৫ বছর বয়স থেকে আমি নিকোটিন অ্যাডিক্ট হয়ে গিয়েছিলাম৷ সবথেকে খারাপ কোনও নেশা যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে নিকোটিনই হল সেটা৷ আমি নিজে থেকে নেশাটা ছাড়তে পারছিলাম না বলে আমায় অস্ট্রিয়া যেতে হয়েছিল৷ সেখানে ডাক্তার আমার কানে ইনজেকশন পুশ করতেন৷ প্রথমদিকে এই ট্রিটমেন্টটা আমায় বেশ খানিকটা সাহায্য করেছিল৷ কিন্ত পরে বুঝলাম নেশা ছাড়া আমার পক্ষে অসম্ভব৷ এই পদ্ধতিতে ছাড়তে গিয়ে নেশাটা আরও জেঁকে বসল আমার ওপর৷”
এসি