অসুস্থ হয়েও আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা
প্রকাশিত : ০৫:৫২ পিএম, ২ জুলাই ২০১৮ সোমবার
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের আমরন কর্মসূচী এখনো চলছে। আজ সোমবার ৮ম দিনের মতো রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের এই অনশন কর্মসূচী চলছে।
এ বছরের ৫ জানুয়ারি শিক্ষকদের আন্দোলন চলাকালে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান ও শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবি মেনে নিয়েছেন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শীঘ্রই এমপিও ভুক্ত করার কার্যক্রম শুরু হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও এখনো এমপিওভুক্তির কোন প্রক্রিয়া দৃশ্যমান না হওয়ায় আবারও আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা।
জুন মাসের ১০ তারিখ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছে শিক্ষকরা। ঈদের সময়ও সকল আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে রাস্তায় পড়ে থেকে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান। গত ২৫ জানুয়ারী থেকে নতুন করে তারা শুরু করেছেন অনশন কর্মসূচি।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনশন কর্মসূচী শুরু করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন ১৮২ জন। এই প্রতিবেদনটি লিখার সময় হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় আছেন ৬ জন। এদের মধ্যে আন্দোলন পরিচালনাকারী সংগঠন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক- কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার গতকাল বিকেল পাঁচটায় অনশনরত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে যান। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার ছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ২০ জন আন্দোলনরত শিক্ষককে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তারা হলেন খুলনার বাহারুল আলম ৬০১ নং ওয়ার্ডের ফ্লোরে, লালপুর উপজেলা থেকে আসা শিক্ষক আসতুল হোসেন ৬০১ নং ওয়ার্ডের ফ্লোরে, ঝালকাঠির মো. গোলাম মোস্তফা ৬০২ নং ওয়ার্ডে ইএক্স-৩ নং বেডে, দিনাজপুরের আবদুর রহমান ৬০১ নং ওয়ার্ডে ইএক্স-৩২ নং বেডে, শেরপুরের শাহাদাত হোসেন ৬০২ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায় একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, আমরা দাবি আদায় না করে ফরে ফিরে যাবো না। হয় দাবি আদায় নয়তো আাত্মাহুতি। আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।
বিনয় ভূষণ রায় আরও বলেন, আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী সমস্যার সমাধান করবেন। তবে আমাদেরকে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছেনা।
উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ৫ হাজার ২৪২ টি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও ভুক্ত করার দাবিতে এ আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা।
আআ/এসি