নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
প্রকাশিত : ১০:১৯ এএম, ৪ জুলাই ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ১০:২০ এএম, ৪ জুলাই ২০১৮ বুধবার
ওয়ানএমডিবি দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কুয়ালালামপুরের হাইকোর্ট নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। গ্রেফতারের একদিনের মধ্যেই নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলো।
মালয়েশিয়ার সরকারি তহবিল ওয়ানএমডিবি থেকে ৭০ কোটি মার্কিন ডলার নিজের অ্যাকাউন্টে হস্তান্তরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দেশটির বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা টাস্কফোর্স। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরই শুরু হয় তদন্ত। এরপরই একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে নাজিবের রাজাকের দুর্নীতির সব রেকর্ড। ইতোমধ্যে তার বাড়ি থেকে ২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের মূল্যমাণ স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ নাজিবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ২০১৫ সালে একটি প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, ২০১৩ সালে নাজিব ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করা হলেও পরে সরকার দাবি করে, সৌদি আরবের রাজপরিবারের কাছ থেকে ‘ব্যক্তিগত অনুদান’ হিসেবে এই অর্থ পাওয়া যায়।
ওয়ানএমডিবি নামের একটি রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে এগুলো জব্দ করা হয়। জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৬ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ এবং হীরার নেকলেস, ১৪টি টায়রা, ১৪০০ নেকলেস, ৫৬৭ হ্যান্ডব্যাগ, ৪২৩টি ঘড়ি, ২২০০টি আংটি, ১৬০০ ব্রোচ এবং ২৩৪টি সানগ্লাস। পুলিশ বলছে, মালয়েশিয়ার ইতিহাসে একবারে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সামগ্রী কখনো বাজেয়াপ্ত হয়নি।
মালয়েশিয়ার আদালত প্রধানমন্ত্রী নাজিবকে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিল। কিন্তু গত মে মাসের নির্বাচনে সরকার বদলের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় এসে নতুন করে ওই দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন বিভাগের কর্মকর্তারা নাজিব রাজাকের বাসায় কয়েক দফা তল্লাশি চালিয়ে বিদেশি মুদ্রা ও বিলাসপণ্য জব্দ করে।
মাহাথির এবং তার সরকারের ঊর্ধ্বতন নেতাদের বিশ্বাস, নাজিব রাজাক যে ওয়ানএমডিবি ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। এদিকে, মার্কিন প্রসিকিউটররা বলছেন, ৭০ কোটি ডলার অর্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একাউন্টে জমা হয়েছে।
এমজে/