ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করলার চা

প্রকাশিত : ০৩:০৯ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৮ বুধবার

করলায় সবজিটি তিতা হওয়ায় অনেকেই এটি খেতে চায় না। কিন্তু তিতা করলার স্বাদ সবার পছন্দের না হলেও এর আছে অনেক গুণ। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, লিভার পরিষ্কার করে, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে এই করলা। এটি ভাজি, জুস আইটেম করে খাওয়ার পাশাপাশি চা করেও খাওয়া যায়।

শুকনো করলার টুকরাকে পানিতে ভিজিয়ে রেখে এই তেতো চা তৈরি হয় এবং ওষুধ হিসেবে বিক্রি হয়। এটি গুঁড়ো বা নির্যাস হিসেবেও বাজারে পাওয়া যায়। এই চা করলার পাতা, ফল এবং বীজ দিয়েও তৈরি করা যায়।

নীচে এর কিছু উপকারিতা দেওয়া হল।

১. রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ :

প্রাচীনকাল থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার ব্যবহার হয়ে আসছে। করলার চাও খুব উপকারী।

২. রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে :

এই চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৩. লিভার পরিষ্কার রাখে :

লিভার ডিটক্স করতে সাহায্য করে ফলে বদহজম রোধ করে।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে :

এই চায়ে উপস্থিত ভিটামিন ‘সি’ কোনো ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৫. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে :

করলা চায়ে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখে।

করলার চা তৈরির পদ্ধতি

সহজেই বানাতে পারেন করলার তেতো চা।

প্রণালি : কিছু পরিমাণ শুকনো বা তাজা করলা টুকরো করে কেটে নিন। পানি এবং মিষ্টির জন্য স্বাদ মতো মধু নিন। করলা গাছের পাতাও ব্যবহার করা যায়, তবে করলা সহজলভ্য তাই করলা ব্যবহার করুন।

পদ্ধতি : প্রথমে চুলায় পানি ফুটিয়ে নিন। তার মধ্যে করলার টুকরো দিয়ে দশ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান যাতে করলার সমস্ত পুষ্টিদ্রব্য পানিতে মিশে যায়। এরপর মধু বা চিনি মিশিয়ে আঁচে কিছুক্ষণ রাখুন। এখন চুলা থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। এরপর কাপে চা ছেঁকে নিন। আপনার করলার চা তৈরি। তবে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে এই চা খেলে মিষ্টি ব্যবহার করবেন না।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে করলার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই করলার চা আপনার রোজকার ডায়েটে ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

সূত্র : এনডিটিভি।

কেএনইউ/ এআর