ভেজাল মেশানো দুধ, ঘি বা মাখন চেনার উপায়
প্রকাশিত : ০৭:২৩ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৭:২৫ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৮ বুধবার
খাবারে ভেজাল মেশানোর বেড়াজালে আমরা এমনভাবে আটকে গেছি যে কোনটি আসল আর কোনটি নকল তা বোঝা বড়ই কঠিন হয়ে পড়েছে। এই ভেজাল মেশানো বিষাক্ত খাবারের ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ।
এসব ভেজাল এড়াতে আসুন দুধ, ঘি বা মাখনে ভেজাল মেশানো আছে কি না, তা পরখ করার পদ্ধতি জেনে নেই-
ভেজাল দুধ চেনার উপায়
দুধ থেকে মাখন তুলে নিলে বা দুধে জল মেশালে দুধের আপেক্ষিক ঘনত্বের পরিবর্তন ঘটে। এটা ল্যাকটোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই ধরা পড়ে যায়। যন্ত্রকে ফাঁকি দেয়ার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা আটা, গুঁড়া দুধ, ময়দা এমনকি চালের গুঁড়োও দুধের সঙ্গে মেশান। এতে দুধের আপেক্ষিক ঘনত্বের খুব বেশি হেরফের হয় না। দুধে এসব ভেজাল মেশানো আছে কি না, তা বোঝার জন্য দু চামচ দুধ একটি কাপে নিন। এতে দুই ফোঁটা টিংচার আয়োডিন মিশিয়ে দিন। দুধের রং হালকা নীল হলে বুঝবেন এতে ভেজাল হিসেবে আটা বা ময়দা মেশানো রয়েছে।
অথবা
একটি কাপে দুধ নিয়ে সেখানে একটি লেবুর চার ভাগের এক ভাগ নিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় রস মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঝাঁকুন। ঝাঁকার পর যদি দুধ ছানার মতো হয় তাহলে সেটি খাঁটি দুধ আর যদি ছানার মতো না হয় তাহলে বুঝবেন কেমিক্যাল দুধ। এছাড়া কেমিক্যাল দুধে মাছি বসে না।
ঘি বা মাখনে ভেজাল চেনার উপায়:
বিশুদ্ধ ঘি বা মাখনে ভেজাল হিসেবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে বনস্পতি বা ডালডা। এক চামচ ঘি বা মাখন গলিয়ে একটি স্বচ্ছ কাচের বয়াম বা বোতলে রাখুন। এতে একই পরিমাণ মিউরিঅ্যাটিক অ্যাসিড ও সামান্য চিনি মেশান। এরপর এর মুখ বন্ধ করে খুব জোরে জোরে ঝাঁকান। কিছুক্ষণ ঝাঁকানোর পর পাত্রটি স্থির অবস্থায় রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর এর নিচে যদি লাল রঙের আস্তরণ পড়ে, তাহলে বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো রয়েছে।
সূত্র : জি নিউজ।
কেএনইউ/এসি