ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০:৫৩ এএম, ৫ জুলাই ২০১৮ বৃহস্পতিবার

টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সুরমা, কুশিয়ারা, তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও লালমনিরহাট, গাইবান্ধার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বাগেরহাটের শরণখোলা সাউথখালীতে প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে।

ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে পানি বাড়ছে সুরমা, কুশিয়ারা, ধরলা, তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের।

সিলেটের কানাইঘাটে সুরমার পানি বিপদসীমার ৫০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাটের লোভাছড়া নদী, জৈন্তাপুরের সারি, গোয়াইনঘাটের ডাউকি ও পিয়াইন নদী দিয়ে প্রবল বেগে ¯স্রোত আসায় সীমান্তবর্তী চারটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ।

সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমার পানি বিপদসীমার ৮০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে জেলার ৪ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম।

অবনতি হয়েছে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতির। তিস্তা ও ধরলার পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে নুতন নুতন এলাকা। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচায় নদীতে বিলীন হয়েছে ১৫টি বাড়ী। দুর্গতদের দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে।

গাইবান্ধার তিস্তা ,যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে সাঘাটা চার উপজেলার চরাঞ্চলে নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। আতংকে রয়েছে নদী তীরের মানুষ।

বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালীতে প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ৮টি গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় তলিয়ে গেছে রোপা আমনের বীজতলা, মাছের ঘের ও ঘরবাড়ি।