হাইভোল্টেজ লড়াই
জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় ব্রাজিল
প্রকাশিত : ০৮:০৭ এএম, ৬ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার | আপডেট: ১১:১০ এএম, ৬ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার
রাশিয়ার দৃষ্টিনন্দন কাজান শহরের অসাধারণ স্টেডিয়াম কাজান এরিনা। এই মাঠেই ফুটবল লড়াইয়ের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় মাঠে নামবে সাম্বা কিং ব্রাজিল ও বেলজিয়াম। তবে ব্রাজিলের শৈল্পিক ফুটবলের বিপক্ষে ‘ফুটবল যুদ্ধে’র ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম। ব্রাজিলও জানিয়ে দিয়েছে তারা কাজানের মাঠে এক ইঞ্চিও ছাড় দেবে না। কাজানের পুরো মাঠের দখল চায় নেইমার এন্ড কোং। সাম্বা ছন্দে আজ দর্শক মাতাবেন তারা। কীভাবে মাঠের দখল বুঝে নিতে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছেন দলের ‘হেডমাষ্টার’ তিতে। এই কোচ সব জ্বালানি তৈরি করেছেন বেলজিয়ামকে উড়িয়ে দিতে।
কোচ তিতে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন বেলজিয়াম কেমন দল। ওরা সাপের মতো ফণা তুলতে পারে! তার প্রমাণও দিয়েছে জাপানের বিপক্ষে। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে সেই খেলায় বেলিজয়াম জিতেছিল ৩-২ গোলে। বেলজিয়াম ফুটবলের ৪৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দুই গোল হজম করে খেলায় ফিরে জিতেছে। কোচ তিতে বলেছেন, ‘আমি খেলাটা দেখেছি। বুঝতে পারি তারা কী করতে পারবে, আর কী পারবে না।’ এদিকে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আজ রাত আটটায় মাঠে নামছে উরুগুয়ে ও ফ্রান্স।
তবে নামি ফরোয়ার্ড বিবেচনা করলে নেইমার-জেসুস-কুতিনহোরাই অবশ্য বেশি এগিয়ে। অবশ্য আক্রমণভাগ নয়, ব্রাজিল এখন পর্যন্ত বেশি স্বস্তিতে দৃঢ় রক্ষণের কারণে। প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে এক গোল হজম করেছিলেন অ্যালিসন। এরপর থেকে থিয়াগো সিলভা, মার্সেলো, মিরান্ডারা নিজেদের জালে আর কোনো গোলই ঢুকতে দেননি। বিশ্বকাপের সাম্প্রতিক আসরের ইতিহাস বলছে গোল বেশি করলেই জেতা যায় না, যারা কম গোল হজম করে তাদেরই শিরোপা জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গতবার জার্মানি ৪টি, তার আগের দু`বার স্পেন ও ইতালি ২টি করে গোল হজম করেছিল।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তিতের ব্রাজিলও মনোযোগ দিয়েছে এ দিকটিতেই। ফিফা র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে থাকা ব্রাজিলকে গত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে সেমিফাইনাল থেকে। তাও বেশ অস্বস্তিকরভাবে জার্মানদের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে। সেই ধাক্কা সামলে তিতের অধীনে বেশ গোছানো দল হয়ে উঠেছে এই ব্রাজিল টিমটি। গত দুই বছরে সেলেসাওদের পরাজয়ের তেতো অভিজ্ঞতাই মাত্র একবারের, তাও ২০১৭ সালে আর্জেন্টিনার কাছে। বেলজিয়ামের সর্বশেষ হার অবশ্য আরও পেছনে। ২০১৬-এর ইউরোর কোয়ার্টারে ওয়েলসের কাছে হারার পর আর কোনো ম্যাচেই অমন অভিজ্ঞতা হয়নি রবার্তো মার্টিনেজের দলটির। জাপানকে হারিয়ে এবার আরেকটি কোয়ার্টার নিশ্চিত করার পর বেলজিয়াম কোচ তাই চোখ রেখেছেন আরও একধাপ ওপরে, ব্রাজিল ম্যাচকে অভিহিত করেছেন `স্বপ্নের লড়াই` হিসেবে। প্রতিযোগিতামূলক ও প্রীতি ম্যাচ মিলিয়ে এ পর্যন্ত চারবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে তিনবারই শেষ হাসি হেসেছে সেলেসাওরা। বিশ্বকাপে দেখা হয়েছে মাত্র একবার। ২০০২ সালে জাপান-কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত সেই আসরে রোনালদো-রিভালদোর গোলে ২-০-র জয় পেয়েছিল ব্রাজিল। সেবার শেষ পর্যন্ত শিরোপাও হাতে তুলেছিল লাতিন আমেরিকার দেশটি। লক্ষ্যটা এবারও একই আছে।
তবে কে যাবে সেমিফাইনালে, আর কাকে ফিরতে হবে বাড়ি- তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত।
এসএ/