আজ কি পারবেন এমবাপ্পে?
প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৮ শুক্রবার
বড় স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন বিশ্ব ফুটবলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। একটা বিশ্বকাপ, মাত্র একটা বিশ্বকাপ-ই তো। কিন্তু না, মেসির স্বপ্ন ভেঙ্গে চূরমার করে দিলেন তিনি একাই। না তিনি কোনো মহাতারকা নন। কিন্তু আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুগোল দিয়ে ইতোমধ্যে বনে গেছেন বিশ্বকাপের সেরা স্ট্রাইকার। আজ সুয়ারজদের বধে মাঠে নামছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীদের আশা, আজও কি জ্বলে উঠবে ফ্রান্স? আজও কি জ্বলে উঠবে এমবাপ্পে?
গতির ঝড়ে লন্ডভন্ড করে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে ভাসিয়ে দিয়েছেন ভোলগায়। নোভগোরাদে উরুগুইয়ান দেয়াল কি সেই এমবাপ্পে-ঝড় থামাতে পারবে আজ? বয়স ১৯ হওয়ার আগেই ১৪৫ মিলিয়ন ইউরো দাম উঠেছে তাঁর। গত আগস্টে পিএসজির সঙ্গে মোনাকোর কথা হয়ে আছে, ওই দামে তারা কিনে নেবে এমবাপ্পেকে। আসলেই তিনি সেই দামের যোগ্য কি না, বোঝার উপায় ছিল না তখন। প্রতিভার চেয়ে টাকার ছড়াছড়ি বেশি যে ফুটবলের বাজারে, সেখানে এটা বোঝা কষ্টকর। সত্যি বলতে, এমবাপ্পে গত একটা মৌসুমে ক্লাবের হয়ে সেটা বোঝাতেও পারেননি। পারেননি বিশ্বকাপে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপের প্রথম তিনটা ম্যাচেও।
কিন্তু কে জানত এমবাপ্পে আসল সময়টার অপেক্ষা করছেন! যে রাতে মেসি-রোনালদো বিদায় নিলেন রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে, সেই রাতটাতেই তিনি বোঝাবেন দামের চেয়েও কত দামি তিনি!
এমবাপ্পে ছুটছেন, তাঁর পেছনে ছুটছে তিন আর্জেন্টাইন। থামাতে না পারলে গোল, থামাতে গেলে পেনাল্টি! ছুটতে ছুটতেই যেন পিএসজির এমবাপ্পে থেকে তিনি বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা এমবাপ্পে হয়ে গেলেন! সতীর্থ ফ্লোরিয়াঁ থভাঁ মজা করে বলেছেন, ‘আমি একটা নতুন নাম দিয়েছি ওর (এমবাপ্পের)-থার্টি সেভেন।’ যাঁরা জানেন না তাঁদের জন্য তথ্য, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেদিন ঘণ্টায় ৩৭ কিলোমিটার গতিতে ছুটেছেন এমবাপ্পে।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফ্রান্সের ম্যাচটা পরে দেখেছেন দিয়েগো গডিন, হোসে গিমেনেজরা। এবং দেখার পরও তাঁরা বেশ নির্ভার। মানেটা পরিষ্কার, এমবাপ্পের জন্য তৈরি তাঁরা। কতটা তৈরি বোঝা গেল উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার দিয়েগো লাক্সালতের কথায়, ‘ওরা জায়গা খুঁজবে খেলার, আমরা সেই জায়গা দেব না। ওদের ফরোয়ার্ডদের অস্বস্তিতে ফেলতে হবে। এটাই আমাদের পরিকল্পনা।’ উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেজের কথাও প্রায় একই রকম, ‘জায়গা দিলে ফ্রান্স কিন্তু আমাদের জন্য কঠিন করে তুলবে সবকিছু।’
কিন্তু সতর্ক থেকেও কি থামানো যাবে এমবাপ্পে-ঝড়? ফরাসি ফরোয়ার্ডের বিখ্যাত সতীর্থ পল পগবা কিন্তু বলেই দিয়েছেন, ‘ও আমার চেয়েও প্রতিভাবান। ওকে কোনোভাবে থামানো যাবে না। এতই দুর্দান্ত সে।’ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এমবাপ্পেকে দেখে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপজয়ী হোর্হে ভালদানোও বলেছেন, ‘ওর সামনে যে চ্যালেঞ্জ, তার চেয়ে ওর প্রতিভা ঢের বেশি।’ শেষ কথাটা উরুগুয়ে সতর্কবার্তা হিসেবেও নিতে পারে।
এমজে/