ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

প্রথমার্ধে পিছিয়েই থাকলো ব্রাজিল

প্রকাশিত : ০১:০৬ এএম, ৭ জুলাই ২০১৮ শনিবার

নিজেদের ভুলে আত্মঘাতী গোল আর বেলজিয়ামের গতির কাছে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলো ব্রাজিল। চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ বেলজিয়ামের দেওয়া দুই গোল হজম করে মধ্য বিরতিতে যায় ব্রাজিল।

ম্যাচের শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসী থাকা ব্রাজিল শিবিরে প্রথম আঘাত আসে ১৩ মিনিটে। বেলজিয়ামের ভিনসেন্ট কোম্পানি’র নেওয়া কর্ণার কিক থেকে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন ব্রাজিলের ফার্নান্দিনহো। কর্ণার প্রতিহত করতে গিয়ে ঘাড়ে লেগে বল চলে যায় জালে।

প্রথম গোল হজমের পর গোল পরিশোধে মরিয়া ব্রাজিল কোথায় যেন পেরে উঠতে পারছিল না। ছোট ছোট পাসে আক্রমণে যাওয়ার যে পরিকল্পনা তাদের শেষটায় গিয়ে তা আর সফল হচ্ছিল না। বরং ম্যাচের ৩০ মিনিটের শেষ দিকে উলটো আরও এক গোল হজম করে বসে তিতের দল।

ব্রাজিলের নেওয়া আক্রমণ চেষ্টা থেকেই নিজেদের আক্রমণ সাজায় ‘রেড ডেভিলস’রা। মাঝ মাঠ থেকে একাই ব্রাজিল সীমান্তের দিকে বল নিয়ে যান বেলজিয়ামের লুকাকু। লুকাকু’র বাড়িয়ে দেওয়া নিখুঁত লং পাস থেকে ব্রাজিলের জালে দ্বিতীয়বার বল জড়িয়ে দেন ব্রুয়েন। ব্রাজিল ডি-বক্সের বাইরে আর গোল পোস্ট থেকে ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া ডান পায়ের শট চাইলেও থামিয়ে দিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান শিবিরের বিশ্বস্ত দ্বাররক্ষক এলিসন বেকার।

তবে ভাগ্য দেবী খানিকটা ব্রাজিলের সহায়ক হলে প্রথমার্ধের হিসেবটা ভিন্ন হলেও হতে পারত। মোত ১০ বার আক্রমণের চেষ্টা আর অন-টার্গেটে বেলজিয়ামের সমান সংখ্যক তিনবার শট নেওয়ার পরেও খালি হাতে ফিরতে হয় নেইমার-মার্সেলোদের। ম্যাচের সপ্তম মিনিটের মাথায় সুযোগ এসেছিল থিয়েগো সিলভার কাছে। নিজেদের প্রথম কর্ণার থেকে আসা বল বেলজিয়াম গোল পোস্টের একদম কাছে ঠিকঠাকই পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পারেননি দলের জন্য প্রথম গোল করতে। ১০ মিনিটেও প্রায় একই চিত্র। মার্সেলোর কর্ণার কিক থেকে নেওয়া বল আঠার মতো চলে এসেছিল পলিনহো’র পায়ে। কিন্তু ভলি’র কারিশমায় ব্যর্থ হয়ে সেবারও গোলবঞ্চিত ছিল ব্রাজিল। ম্যাচে ১৫, ১৯ আর ৩৬ মিনিটেও সুযোগ পেয়েছিল পেন্টা ক্যাম্পিও’রা। কিন্তু প্রথমটি ব্যর্থ চেষ্টা আর পরের দুইটি বেলজিয়ান গোলরক্ষক কুরটয়েসের সফল চেষ্টায় ভেস্তে যায় ব্রাজিলের সবকটি আক্রমণ।

ষষ্ঠ বার কাপ জয়ের মিশন ‘মিশন হেক্সা’ নিয়ে আসা ব্রাজিল শেষ পর্যন্ত সফল হবে নাকি ৫৫ বছরের ইতিহাস বদলে শেষ হাসি হাসবে বেলজিয়াম, ম্যাচের বাকি সময় পরে জানা যাবে সেটিই।